মুম্বই পুলিসের অনুমতি না নিলে CBI-কেও কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে, বিস্ফোরক মুম্বই মেয়র
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে পাটনা থেকে মুম্বই আসা আইপিএস অফিসারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছিল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC)। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তদন্ত আটকাতে জোর করেই বিহারের ওই আইপিএস অফিসারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল।
তবে বর্তমানে সুশান্ত মামলার তদন্ত গিয়েছে CBI-এর হাতে। আর এপ্রসঙ্গেও ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুম্বই মেয়র কিশোরী পেডনেকর।
এবার মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর জানালেন, ''মুম্বই পুলিসের অনুমতি নিয়েই CBI-কে তদন্ত শুরু করতে হবে, নচেৎ CBI আধিকারিকদেরও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রয়েছে। তাই তাঁদের মুম্বই পুলিসের অনুমতি নিতেই হবে। আর তানাহলে আইসোলেশন বাধ্যতামূলক।''
খুব স্বাভাবিকভাবেই মুম্বই মেয়র কিশোরী পেডনেকরের এধরনের মন্তব্যে বেজায় চলেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি মহারাষ্ট্র সরকার কোনওভাবেই সুশান্ত মামলার তদন্ত করতেই দিতে চাইছে না?
প্রসঙ্গত, পাটনা থেকে আসা আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে শুক্রবারই বিহারে ফিরে যেতে হবে এই শর্ত সাপেক্ষেই কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়ে BMC।
প্রসঙ্গত, CBI ইতিমধ্যেই সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ভাই শৌমিক, রিয়ার ম্যানেজার শ্রুতি মোদী, সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ড সহ আরও একজনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে CBI।
শুধু FIR দায়েরই নয়, সুশান্ত মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে CBI। জানা যাচ্ছে, এই টিমে রয়েছেন মনোজ শশীধর (গুজরাট ক্যাডার) IPS অফিসার গগনদীপ গম্ভীর, নূপুর প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে এই তদন্তকারী দল।
এদিকে শনিবারও নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র অনিল দেশমুখ। তিনি এদিন বলেন, সুশান্ত মামলা এখনও CBI-এর হাতে যায়নি। ১১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এর রায় দেবে।
প্রসঙ্গত সুশান্ত মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবারের পর শনিবারও রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌমিক ও বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তীকে আর্থিক তছরুপের মামলায় জেরা করে ED।