মানসিক হতাশায় ভুগেছিলেন যে তারাকারা, জীবনযুদ্ধে কঠিন লড়াইয়েও হার মানেন নি..
নিজস্ব প্রতিবেদন: জীবনের পথে চলতে চলতে বহু কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। আবার সেই সময় কাটিয়ে ওঠেন। জীবনযুদ্ধে জয়ী হন মানুষ। তারকাদেরও খারাপ সময় থাকে, তারাও অনেকসময় হাঁপিয়ে ওঠেন। কোন কোন তারকা এই সময়ের মধ্য়ে দিয়ে গিয়েছেন, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
মণীষা কৈরালা (Manisha Koirala) শারিরীকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন অভিনেতা। এ খবর আমাদের সকলেরই জানা। কেউই আমরা জানি না তাঁর মানসিক লড়াইটা। তাঁর প্রাক্তন স্বামী সম্রাট দালালের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। সেই থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগতেন অভিনেত্রী। ২০১২-য় বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁর। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন অভিনেতা।
বরুণ ধাওয়ান (Varun Dhawan), জেন ওয়াইয়ের প্রিয় স্টার। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে সমসময় এনার্জেটিক স্টার হিসেবেই পাই আমরা। তবে তাঁর হাসির পিছনেও যে একটি দুনিয়া আছে তা জানতেন না কেউ। 'বদলাপুর' ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ছবিতে প্রতিশোধের দৃশ্য শুটিংয়ের পর তিনি ডিপ্রেশনে চলে যান। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় নিয়েছিলেন বেশ কিছুটা।
ডঃ জাহাঙ্গির খানকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন বলিউড বাদশা। 'লভ ইউ জিন্দিেগি' ও গেয়ে উঠেছিলেন নিশ্চয়ই নিজের হতাশায়। ২০০৮ এ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan), তাঁর কাঁধে একটি অপারেশন হওয়ার পরই হতাশার শিকার হন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজেই জানিয়েছিলেন এই খবর।
অনুষ্কা শর্মাকেও যতটা খুশি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখেন, ততটা সুন্দর অতীত নয় ওনার। যে কোনও উদ্বেগেই শরীর খারাপ হয় অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma) র। এর জন্য তাঁকে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হয়। এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছিলেন মানসিক রোগ কোনও লুকিয়ে রাখার ঘটনা নয়, এতে লজ্জা পাওয়ারও কিছু নেই। সময়মত চিকিৎসা হলে তা কাটিয়ে উঠতে পারা যায়।
বলিউডের শাহেনশা, বিগ বি। তিনি অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তাঁর কি চিন্তা থাকতে পারে? এ কথা ভাবলে ভুল করবেন। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকেও। খ্যাতির শীর্ষে থেকেও বিপাকে ছিলেন অভিনেতা। ১৯৯৬ এ প্রযোজক হিসাবে সময় ভাল যাচ্ছিল না তাঁর। বহু লোকসান হয়েছিল বিগ বির। প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) বিষয় সকলেরই জানা। তিনি এই বিষয়ে কখনও ঢাক ঢাক গুড় গুড় করেন নি। প্রকাশ্যে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন ফ্যানদের। কাউন্সিলিং করার আগে থেকেই প্রচুর কথা শুনতে হয়েছিল তাঁকে। সেই থেকে প্রচার করেন মানসিক রোগ লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়। তিনি একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেন, যাঁর নাম Live Love Laugh। জীবনকে সম্পূ্র্ণভাবে উপভোগ করার কথাও বারবার মনে করিয়ে দেন অভিনেতা।
করণ জোহর (Karan Johar) অত্যন্ত সফল একজন পরিচালক। তবে জীবনসঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। এখন তিনি দুই ছেলেমেয়ের বাবা। তবে সিঙ্গল ফাদার। জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে তিনি দেখে নিয়েছেন। একটা সময় তিনি মনে করতেন তাঁর জীবনসঙ্গী জুটবে না, আর সেই থেকেই হতাশা চরম পর্যায় পৌঁছয়। একন দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুশিতে দিন কাটাচ্ছেন।