Chennai: উফ! অফিসের কাজের চাপে `ডিপ্রেসড` ইঞ্জিনিয়র ইলেকট্রিক শক দিয়ে আত্মহত্যা করলেন...
বছর আটত্রিশের কার্তিকেয়ন। ঘটনার দিন বাড়িতে তখন একা ছিলেন। স্ত্রী গিয়েছিলেন মন্দিরে। তিনি ফিরে এসে স্বামীকে দেখে আঁতকে ওঠেন!
মন্দির থেকে বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রী দেখেন, স্বামীর পরনে শুধু অন্তর্বাস, খালি গায়ে জড়ানো বিদ্যুতের তার। তারটি বিদ্যুতের একটি জয়েন্ট বক্সে যুক্ত। তিনি অচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন! সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন। পরে পুলিস আসে।
কার্তিকেয়ন গত ১৫ বছর ধরে একটি সফট ওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁদের দুই সন্তানও আছে। সব মিলিয়ে সুখের সংসার। তবে গত দুমাস ধরে তিনি খুব অবসাগদ্রস্ত ছিলেন। মানসিক চাপ কাটানোর চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। আর তার পরেই এই ঘটনা!
কদিন আগেই EY পুণের ২৬ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুতে কোম্পানির সর্বভারতীয় বসকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁর মা। চিঠিতে ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, অত্যধিক কাজের চাপে কাজে যোগ দেওয়ার ৪ মাসের মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর মেয়ে!
কাজের জগৎটা ঠিক কেমন, তা নানা ঘটনা থেকে বোঝা যায়। যেমন, এরও ক'দিন আগেই সামনে এসেছিল TCS-এর একটি ঘটনা। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন এক প্রাক্তন TCS কর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন কর্মক্ষেত্রে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন তাঁরই এক সিনিয়র। শুধু তাঁকে নয়, অন্যান্য ফ্রেশারদের সঙ্গেও সেই সিনিয়র একই ঘটনা ঘটাতেন।
ওই টিসিএস কর্মীর অভিযোগ, কর্পোরেট ভারত আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে এমনভাবে হেনস্থা করবে, যাতে আপনার মনে হবে আপনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন! তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে হওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, কিন্তু তাঁর অন্য সহকর্মীরা সেটা করেননি!