করোনা ঠেকাতে চিনের নীতি `ব্যর্থ`, প্রভাব পড়ল বিশ্ববাজারেও
করোনা সংক্রমণ এখনও কমেনি চিনে। বরং এবারে কিছুটা বেশিই। লকডাউনের পরও যেভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সে দেশে সেখানে চিনের 'জিরো কোভিড' নীতিকেই দায়ী করেছেন অনেকে। বর্তমানে সে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০। যা গত দু'বছরের নিরিখে অনেকটাই বেশি।
শিশুরা কোভিড পজিটিভ হলেই তাদের মা-বাবার থেকে আলাদা করেছে চিন। এই নীতি নিয়ে সরব হয়েছে ৩০টিরও বেশি দেশ। কূটনীতিকরা এই নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিনা বিদেশমন্ত্রককে চিঠিও দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
যে প্রদেশে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে সে প্রদেশেই লকডাউন করেছে চিনা সরকার। ফলে আন্তঃপ্রদেশ বাণিজ্যে ধাক্কা খেয়েছে৷ পণ্যে সরবরাহ-লেনদেনও আটকেছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে রীতিমতো জাতীয় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে এই করোনা প্রাদুর্ভাব।
লকডাউনের মধ্যে চিন এবং তাইওয়ানের নির্মাতাদের বড় কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়েছে বন্দরগুলিও। যা বিশ্ব বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। আমদানি-রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার জেরে প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রেই।
এর মধ্যে সাংহাইয়ের পরিস্থিতি সবচেয়ে কঠিন। ক্রমশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সংক্রমণ। যদিও জিরো কোভিড প্রোগ্রাম যার মস্তিষ্কপ্রসূত সেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন সরকার তার নীতি পর্যালোচনা করার কথা এখনই ভাবছে না।