Cholesterol : একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কমান কোলেস্টেরল!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোলেস্টেরল, কোলেস্টেরল, কোলেস্টেরল! আমরা কোলেস্টেরলকে পছন্দ করি না, কিন্তু ফাস্ট ফুডকে পছন্দ করি। তাই কোলেস্টেরলকেও আমরা ইগনোর করতে পারিনা। অনেক হল রসিকতা। ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বাড়িতে বাড়িতে কোলেস্টেরলের সমস্যা। এর কারণ ও উপায় একটাই। খাদ্যাভ্যাস। পালটে ফেলতে হবে খাবারের তালিকা। তবে এটা করা এমন কিছু হাতি-ঘোড়া কাজ নয়। আমাদের রান্নাঘরেই উপস্থিত থাকে এরকম কিছু সহজলভ্য খাবার যা নিয়ম করে খেলে কমে যাবে কোলেস্টেরল। তা হলে সেই খাবারগুলোয় এক নজরে একবার ঝালিয়ে দেখে নেওয়া যাক-
কোলেস্টেরল কমানোর সবথেকে সোজা উপায় হল, নিয়মিত এক বাটি ওটস্ খাওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে দিনে ৫-১০ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার দরকার। এক বাটি ওটসে রয়েছে ১-২ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার। ওটসের সাথে অন্যান্য ফল, যেমন কলা, আঙুর ইত্যাদি মিশিয়ে খেলে আরও ভালো।
শরীরে কোলেস্টেরলে মাত্রা বাড়লে মূলত হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, কোলেস্টেরল শিরা ও ধমনির পথ সরু করে দেয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। আর এখান থেকেই হার্টের ব্লাড পাম্পে সমস্যা দেখা দেয়। ওটসের মতই নিয়মিত বার্লি ও অন্যান্য গোটা শস্য, যেমন- গম,ভুট্টা ইত্যাদি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
যারা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য বিনস অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনস হজম হতে একটু বেশি সময় নেয়। ফলে বিনস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে, খিদে কম পায়। এছাড়া এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার।
বেগুন এবং ঢেঁড়শ অত্যন্ত সাধারণ একটি সবজি। কিন্তু জানেন কি, এই দুটি সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এর পাশাপাশি, দ্রবণীয় ফাইবারের উৎকৃষ্ট ভাণ্ডার।
বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত প্রায় ৬০ গ্রাম মতো আমন্ড, ওয়ালনাট, যেকোন বাদাম খেলেই ৫ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এছা়ড়াও বাদামে এমন অনেক উপাদান আছে, যাতে হার্টও ভালো থাকে।
যেকোন উদ্ভিজ্জ তেল যেমন, সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল ইত্যাদি দিয়ে আপনার প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকা থেকে ঘি, মাখন বাদ দিয়ে দিন। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, ভেজিটেবল ওয়েলের জুড়ি মেলা ভার!
আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি, বিভিন্ন লেবু – এই প্রকার ফলগুলিতে উচ্চ মাত্রায় পেক্টিন থাকে। এছাড়াও এতে দ্রবণীয় ফাইবারও আছে। ফলে কোলেস্টেরল কমাতে দুপুরে খাবারের পর নিয়মিত ফল খাওয়া উচিত।
কোলেস্টেরল কমাতে হলে খাবারের তালিকা থেকে সবার আগে মাংসকে সরাতে হবে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন স্যালমন, টুনা, সারডিন ইত্যাদি মাছে ওমেগা থ্রি থাকে। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এই মাছ খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেকটাই কমে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।