বাস্তবে এমনও হয় বস্তি!
ছিঃ ছিঃ এত্তা জঞ্জাল! না, মুম্বইয়ের এই বস্তিগুলিকে আর এমনভাবে নাক সিঁটিয়ে ‘তিরষ্কার’ করা যাবে না! এ সব বস্তিতে ঢুঁ মেরে আসুন, মন ভাল হয়ে যাবে...
তা বলে তাদের সংসারে জিডিপি বেড়ে গিয়েছে! একদমই না। মাথায় কংক্রিটের ছাদ! তা-ও না। তাদের পিঠ ঠেকে যাওয়া দেওয়ালের শুধু রং বদলে গিয়েছে। ভাবছেন রাজনৈতিক রং! না, নিখাদ রঙে ভোল পাল্টে গিয়েছে মুম্বইয়ের ধোবি ঘাট, আম্বেদকর নগর, কামাঠিপুরের বস্তিগুলি।
থানে শহরের বস্তিরও হাল ফিরেছে রামধনু রঙে। বাণিজ্যনগরীর এমন ১৩ বস্তিকে নানা রঙে ঢেকে দিয়েছে মু্ম্বইয়েরই এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার রুবল নেগির মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনা বস্তিতে থাকা দরিদ্র মানুষের জীবনই পালটে দিয়েছে। জানুয়ারি থেকে শুরু তাঁদের প্রকল্প ‘মিসাল মুম্বই’য়ে ২৪ হাজার বাড়ি রং করা হয়েছে।
৩০০-র বেশি দেওয়ালে নানা চিত্রও অঙ্কন করেছে এই স্বেচ্ছাসেবীর শিল্পীরা। সেখানকার স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাদের বস্তি এখন এতটাই রঙিন, যে তাদের জীবনেও প্রভাব পড়েছে।
তবে, নেগির কথায়, “তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নতি করাটাই আমাদের লক্ষ্য।” বস্তির মহিলা এবং শিশুদের জন্য প্রথমিক চিকিত্সার ব্যবস্থাও করেছে এই সংগঠন।
নেগি জানান, ছোটো ঘর হোক কিংবা বড়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা ভীষণ জরুরি। এতে তাদের স্বাস্থের মানও বাড়বে বলে মত রুবলের।
বস্তির বাড়িগুলির প্রত্যেকটিতে ওয়াটার প্রুফ রং করা হয়েছে বলে দাবি নেগির। তিনি জানিয়েছেন, ছত্তিসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশায় গজিয়ে ওঠা বস্তিগুলিতেও কাজ শুরু পরিকল্পনা করা হচ্ছে।