জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিজয় চকে ধর্নায় কংগ্রেস সাংসদরা
পেট্রল ও ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রতিবাদে, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সাংসদরা দিল্লির বিজয় চকে বিক্ষোভ দেখান। রাহুল গান্ধী বলেন, গত ১০ দিনে, পেট্রল এবং ডিজেলের দাম নয় বার বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন যে তাদের দাবি এই দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনাতে হবে। তিনি আরও বলেন যে কংগ্রেস বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছে।
প্রবীণ নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মল্লিকার্জুন খার্গে, অভিষেক সিংভি প্ল্যাকার্ড নিয়ে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। এই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি রোলব্যাক করার কথা। রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন যে বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে, তারা জ্বালানি এবং এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছেন।
জ্বালানির দাম কমানোর দাবি জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই জ্বালানির দাম বাড়বে। তিনি আরও বলেন যে তারা দাবি করছেন যাতে জ্বালানির দাম কমানো হয়। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে জনসাধারণের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুদ্রাস্ফিতি এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোকাবিলা করার জন্য, কংগ্রেস মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে একটি দেশব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'মেহেঙ্গাই মুক্ত ভারত অভিযান' চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ মার্চ থেকে সারা দেশে সমাবেশ এবং মিছিলের আয়োজন করবে তারা।
বৃহস্পতিবার পেট্রল ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮০ পয়সা। গত ১০ দিনে মোট দাম বেড়েছে ৬.৪০ টাকা। দিল্লিতে পেট্রলের দাম এখন প্রতি লিটারে ১০১.৮১ টাকা যা আগে ছিল ১০০.০১ টাকা। ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৯৩.০৭ টাকা থেকে বেড়ে ৯২.২৭ টাকা হয়েছে। কলকাতায় পেট্রলের নতুন দাম প্রতি লিটারে ১১১.৩৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৬.২২ টাকা।
গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে জ্বালানির দামের দৈনিক পরিবর্তন বন্ধ ছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে অপরিশোধিত তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরে ২২ মার্চ আবার দাম পরিবর্তন শুরু হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরের ৩ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে জ্বালানির খুচর বিক্রির দাম কমাতে পেট্রলে প্রতি লিটারে ৫ টাকা এবং ডিজেলের প্রতি লিটার ১০ টাকা করে শুল্ক কমায়। এর পরে, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য পেট্রল এবং ডিজেলের উপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হ্রাস করে।