কৃষিঋণ মুকুব, ১৫০ দিনের কাজ, জিএসটি, কর্মসংস্থান-সহ এক ঝাঁক প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস-ইস্তাহারে
কৃষিঋণ- শিল্পপতিরা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে দেশ ছাড়া হচ্ছেন। কিন্তু জেলের ঘানি টানছেন কৃষকরা। কৃষকরা অক্ষম হলে ঋণ শোধ করতে হবে না। এমনকি তা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ন্যায়- প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আমরা সবাই জানি তা মিথ্যে। কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ (ন্যূনতম আয় যোজনা)-য় বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে প্রত্যেক গরিব পরিবারকে। যা ৫ বছরে দাঁড়াচ্ছে পরিবার পিছু ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
কর্মসংস্থান- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২ কোটি কর্মসংস্থানের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রায় ১০ লক্ষ কর্ম সংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি আরও সহজ সমাধানে এগোনোর চেষ্টা করবেন। তাঁর দাবি, উদ্যোগপতীদের কোনও অনুমোদন বা ছাড়পত্র ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবেন। এমনকি প্রথম তিন বছর কর ছুট মিলবে তাদের। মোট ২২ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
রেলের মতোই কৃষকদের জন্য পৃথক বাজেট করা হবে।
বেকারত্ব, কৃষক আত্মহত্যা এবং নিশ্চল অর্থনীতি দূর করাই হবে প্রথম লক্ষ্য। দেশের অর্থনীতিকে ত্বরাণ্বিত করতে ‘শক্-থেরাপির’ প্রয়োজন বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী দাবি করেন, ন্যায় প্রকল্প রূপায়ণ করা সম্ভব। এত দিনে কৃষিঋণ মুকুব করে দেখাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু আমরা তিন রাজ্যে তা করে দেখিয়েছি।
মোদীর গব্বর সিং ট্যাক্স (জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর)-র ৫টা ধাপ তুলে একটিতে করা হবে। অর্থাত জিএসটি-র একটিই স্তর থাকবে, যেখানে ন্যূনতম কর দিতে হবে জনগণকে।
শিক্ষা খাতে ৬ শতাংশ জিএসটি করা হবে।
একশো দিনের কাজ বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৫০ দিন করা হবে।
অস্ত্র আইনে সংশোধন আনার প্রতিশ্রুতি।