করোনা আতঙ্কে ২০ ঘণ্টা পরে রইল দেহ, পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে সত্কার

Tue, 28 Jul 2020-4:44 pm,

করোনা দিনদিন মানুষকে শুধু আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে না, মানুষকে করে তুলছে বিবেক ও মনুষ্যত্বহীন। করোনা যেভাবে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে তাতে কমবেশি সবাই এই রোগে শিকার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবুও মানুষ করোনা আক্রান্ত রোগী এবং তাঁর পরিবারকে শুধু ব্রাত্য করে রাখে না,  নানাভাবে হেনস্থার শিকার হতে তাঁদের। আবার এইসময় কেউ যদি অন্য রোগে মারা যায় তাঁকে করোনা রোগী বানিয়ে তাঁর পরিবারকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে সর্বত্র একই অভিযোগ। এইরকম একটি ঘটনার সাক্ষী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালিমাবাড়ি গ্রাম।  

এই গ্রামের বাসিন্দা অমিয় ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর শুধুমাত্র করোনা আতঙ্কে ২০ ঘণ্টা গ্রামে পড়ে রইল মৃতদেহ। পরবর্তীকালে শ্মশানে দাহ করাতে নিয়ে গেলেও সেখানে বাধা দেওয়া হয়। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই বৃদ্ধের মৃতদেহ সত্কার করা হয়।

পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর, অমিয় ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। হঠাৎ সোমবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বিকেলে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরে ডালিমবাড়ি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

 এলাকাবাসীদের দবি,  যেহেতু জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে  মারা গেছে। তাছাড়া মৃতের পরিবারের অনেকেই অসুস্থ। তাই আগে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সব সদস্যের করোনা টেস্ট করা হোক তারপরে দেহ দাহ করতে দেওয়া হবে। মৃতের ছেলের বক্তব্য, “তার বাবার টাইফয়েড হয়েছিল। সঙ্গে হয়েছিল জন্ডিস।

তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন বা স্থানীয় নেতৃত্বরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গ্রামবাসীদের বাধায় সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল দশটা পর্যন্ত বাড়িতেই পড়েছিল অমিয় ভট্টাচার্যের মৃতদেহ। পরিবারের লোকজন অমিয় ভট্টাচার্যের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পর দাহ করতে গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। খবর পেয়ে আসে চন্দ্রোকনা থানার পুলিস।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link