`মোদী যেন সম্রাট নিরো... মৃত্যু আবহে অকাল দীপাবলি পালন!` বিরোধীদের নিশানায় নমো
করোনা মোকাবিলায় ঐক্যতার বার্তা দিতে রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য দেশবাসীকে ঘরের আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, মোবাইলের টর্চ জ্বালানোর পরামর্ধ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাতে সামিল হন মোদী নিজেও। রবিবার ঘড়ির কাঁটায় রাত ৯টা বাজতেই ঘর অন্ধকার করে বেরিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বাসভবনের লনে জ্বালিয়ে দেন বিশাল প্রদীপ। ঠায় ৯ মিনিট সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন।
মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালাতে দেখা যায় সারা দেশের মানুষকে। তবে তার সঙ্গে গতকাল রাতে তুমুল বাজিও ফাটে। আলোর বাজির সঙ্গে ছিল শব্দবাজিও। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। করোনা আতঙ্কের মধ্যে 'অকাল দীপাবলি' পালনকে কটাক্ষ করে একযোগে মোদীকে বিঁধেছেন রাহুল থেকে অভিষেক, সূর্যকান্ত মিশ্র প্রমুখ বিরোধী নেতৃত্ব।
রাহুল গান্ধী টুইট করেন, ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মী নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন। অনেকের কাছে সুরক্ষাবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উপকরণটুকু পর্যন্ত নেই। ঝুঁকি নিয়েই নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তাঁরা।
বিশ্বমারী করোনা। বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সেখানে এভাবে বাজি, প্রদীপ, ফানুস উড়িয়ে 'অকাল দীপাবলি' পালন! বিশ্বে এঘটনা আর দ্বিতীয় নেই। লকডাউন বিধি শিকেয় তুলে 'নজির' তৈরি করল ভারত। সেল্ফ আইসোলেশনের না সেল্ফ-ডেসট্রাকশন? টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির ৪০ তম বর্ষপূর্তিতে বাজি ফাটিয়ে ধুমধাম করে 'করোনা মায়ের পুজো' অনুষ্ঠিত হল বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
মোদীকে রোমান সম্রাট নিরোর সঙ্গে তুলনা করেছেন কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি লিখেছেন, রোম যখন পুড়ছিল, তখন সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। এখানে আমার দেখলাম করোনায় মৃত্যুমিছিল যখন বাড়ছে, মোদীর কল্যাণে মানুষ তখন লকডাউন ভেঙে বাজি ফাটাচ্ছে!