`দেশজুড়ে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রমাণ নেই, এলাকাভিত্তিক হটস্পটগুলিতে হতে পারে`
কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বললেও তা মানতে নারাজ এইমসের প্রধান। এইমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া আজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, দেশজুড়ে যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তবে দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার হটস্পট রয়েছে। সেখানে এলাকভিত্তিক গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে।
গুলেরিয়া বলেন, দেশের কিছু জায়গায় করোনা রোগীর সংখ্যা ভয়ঙ্কর বেড়েছে। দিল্লিতে এমনটা হয়েছে। অর্থাত্ ওই জায়গায় সংক্রমণ শীর্ষ ছুতে চলেছে। যেসব জায়গায় এই ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়নি সেখানে তা পরে দেখা যাবে।
সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর হার নিয়েও মন্তব্য করেন গুলেরিয়া। বলেন, ভারত-সহ দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ায় করোনায় মৃত্যু হার ইটালি, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেকটা কম।
করোনা ভ্যাক্সিন সম্পর্কে গুলেরিয়া বলেন, ১৮-৫৫ বছরের মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্য়াক্সিন পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে, কেরলের পর পশ্চিমবঙ্গও জানিয়ে দিল রাজ্যে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সোমাবার স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত রাজ্যে সপ্তাহে ২ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে। বৃহস্পতি ও শনিবার হবে সম্পূর্ণ লকডাউন। সোমবার ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
এর আগে গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে সরব হন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর রাজ্যেই প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি কেরলই সংক্রমণের চেন ভেঙে করোনাকে খানিকটা রুখেও দেয়। কিন্তু শনিবার বিজয়ন স্বীকার করে নেন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজার কথায়,''কেরলের ৮৪টি চিহ্নিত এলাকায় ৫০ শতাংশের উপরে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু তার বাইরে সংক্রমণ ১০ শতাংশ।''
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪০ হাজার ৪২৫। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গোটা ভারতে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৩ জন। মোট প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯৭ জন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে।