সেই রামও নেই, রাজত্বও...! মাসিক দুহাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হল সিপিএমের পার্টি অফিস
ভাড়া দিয়ে দেওয়া হল সিপিএমের শাখা কার্যালয়। খবর চাউর হতেই চরম অস্বস্তি সিপিএমের অন্দরে। মাসিক দুহাজার টাকার বিনিময়ে ডুয়ার্সের গয়েরকাটায় সিপিএমের শাখা অফিস মালদা থেকে আসা জনা ছয়েক ফেরিওয়ালাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গয়েরকাটা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে সিপিএমের একটি শাখা অফিস। চা বাগান অধ্যুষিত ডুয়ার্সে এই এলাকায় সিপিএমের প্রভাব ছিল একসময়। আর সেই সময় রমরমা ছিল এই ধরনের শাখা অফিস গুলিতে। লোকজনের ভিড় থাকত। গমগম করত পার্টি অফিস।
রাজ্যে ২০১১ সালে পালাবদল হওয়র পরেও ২৭ আসন বিশিষ্ট ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত বামেদের দখলে ছিল। ২০১৪ সাল পর্যন্ত গয়েরকাটায় সিপিএমের এই শাখা অফিস বেশ রমরমা ছিল। এরপর ২০১৪ সালে সিপিএম ছেড়ে কিছু সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে যায়। এরপর থেকে ক্রমশ কমতে থাকে ওই শাখা অফিসে লোকজনের যাতায়াত। তবুও মাঝে মধ্যে দুএকজনকে পার্টি অফিসে বসতে দেখা যেত বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার বিকেলে কিছু ফেরিওয়ালাকে ওই শাখা অফিসে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র নিয়ে আসতে দেখা যায়। খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে জানা যায়, মাসিক দুহজার টাকার বিনিময়ে ওই পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মালদা থেকে আসা মহম্মদ রাকিবুল নামে এক ফেরিওয়ালা জানান, শনিবার বিকেলে তাঁরা এই পার্টি অফিস ভাড়া নিয়েছেন।
ঘটনায় সিপিএমের জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো খবর তাঁর জানা নেই। পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার এক্তিয়ার সদস্যদের কারও নেই। অভিযোগ সত্যি হলে পার্টি শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে যা ব্যাবস্থা নেওয়ার নেবে বলেও জানান তিনি।