Darjeeling: নতুন করে ধসে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, জল-বিদ্যুৎহীন পাহাড়ে আটকে পর্যটকরা, ভাঙন নদীবাধেও
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রবল বৃষ্টির জেরে ভূমিধসে বিধ্বস্ত পাহাড়। বিপর্যস্ত জনজীবন। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। আকাশে মেঘ থাকলেও পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টি আপাতত থেমেছে ঠিক-ই, কিন্তু চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাণ্ডবলীলার ধ্বংসচিহ্ন। ধস সরিয়ে কিছু রাস্তা খুললেও, আবার নতুন করে ধসও নেমেছে কয়েক জায়গায়।
এখনও বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। ওদিকে সেতিঝরার উপরের ধস সরিয়ে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার লাইফলাইন, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ওয়ান ওয়ে করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার নতুন করে ধস নামায় ফের বন্ধ সেই রাস্তা।
অন্যদিকে, কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ধসে বিপর্যস্ত। শুধুমাত্র পাপোড়খেতি থেকে লাভা পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২০-২৫ জায়গায় ধস পড়েছে গত ৩ দিনে। এলাকায় ৩ দিন ধরে ব্যহত বিদ্যুৎ পরিষেবা। পানীয় জলও অমিল। ঘোর সঙ্কটে পড়েছেন পর্যটকেরা।
রাস্তায় ধসের কারণে এখনও সমতলে নামতে পারছেন না পর্যটকেরা। এদিকে ফেরার সময় হয়তো পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে হোটেলে থাকতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে চার্জও দিতে পারছেন না। ফলে যোগাযোগ করতে পারছেন না বাড়ির লোকজনের সাথেও।
রাস্তা কবে সম্পূর্ণরূপে খুলবে সেদিকেই তাকিয়ে পর্যটকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে।
পাশাপাশি, প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় মালবাজার মহকুমার ঘীস নদীর রেলের গাইড বাধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলের চাপে প্রায় ৩০ মিটার দীর্ঘ রেলের সেতুর গাইড বাধের একাংশ বুধবার রাতে ভেঙে গিয়েছে।
এখনও অল্প অল্প করে সেই বাধ ভাঙছে। অবিলম্বে বাধটি মেরামত করা না হলে রেল সেতুর ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি, ঘীস বস্তিরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
তবে তিস্তার জল কমায় জলপাইগুড়ির সুকান্তনগর কলোনি, বিবেকানন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬.৪০ মিনিটে সতর্কবার্তা প্রত্যাহার করে নেয় সেচ দফতর।
তারপরই ঘরে ফিরতে শুরু করেন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। গবাদি পশু নিয়ে মাঠে চড়াতেও বেরিয়ে যান অনেকে। অনেকটা জল কমেছে করলা নদীতেও।