Darwin Day: ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়ে ভেসে পড়লেন অকূল সাগরে
তিনি আমাদের ইতিহাসটাকেই বদলে দিলেন। বদলে দিলেন আমাদের বিজ্ঞান। তিনি স্বনামধন্য চিরস্মরণীয় চার্লস ডারউইন। আজ তাঁরই নামাঙ্কিত দিবস-- 'ডারউইন ডে'।
ডারউইন না এলে হয়তো আমরা জানতেই পারতাম না এই গোটা বিশ্বজগতের সঙ্গে ঠিক কী ভাবে আমরা সম্বন্ধযুক্ত। মানুষ যে হঠাৎ করে পৃথিবীতে খসে পড়েনি, এক দীর্ঘ বিবর্তনের পথ ধরেই যে সে এসেছে সেই রহস্য উন্মোচন করেন তিনি।
'ল অফ ন্যাচারাল সিলেকশন' বা প্রাকৃতিক নির্বাচন-এর নীতি না প্রকাশিত হলে মানবজাতির বিজ্ঞানের ইতিহাসে বড় রকমের শূন্যতা থেকে যেত। সেই শূন্যতাটা ভরাট করে ডারইউন সমৃদ্ধ করলেন মানবজাতিকে, কিংবা বলা ভাল এই বিপুল বিশ্বসংসারে মানবজাতির অবস্থানকে 'জাস্টিফাই' করলেন।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের জনক ডারউইন জন্মেছিলেন ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। তাই ১২ ফেব্রুয়ারি দিনটিকেই 'ডারউইন দিবস' হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এক ইংরেজ পরিবারের ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি।
ডারউইনের বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক। ১৮২৫ সাল নাগাদ তিনি তাঁর বাবাকে তাঁর ডাক্তারিকর্মে সাহায্য করছিলেন। এই সময়েই তাঁকে ডাক্তারি পড়তে চলে যেতে হয়।
কিন্তু পড়াশোনায় গাফিলতি করেন তিনি। খবর যায় বাবার কাছে। বাবা রেগে যান। তিনি সেখান থেকে ছেলেকে সাধারণ স্নাতক কোর্সে ভর্তি করে দেন। এদিকে তাঁর নিজের আগ্রহের জায়গাটা ক্রমশ প্রসারিত হয়। তিনি কীটপতঙ্গ পাখি প্রকৃতি ইত্যাদি নিয়ে অনুসন্ধানী হয়ে পড়েন। যোগাযোগ ঘটে যায় তাঁর অভিযাত্রীদলের সঙ্গেও। শুরু হয় এক নতুন ইতিহাস।