অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির বিজয়, দশমী কী কী কারণে উদযাপিত হয়? জেনে নিন
রামায়ন মতে, লঙ্কার রাজা ছিলেন রাবণ (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা)। দশটি মাথার জন্য তাঁকে দশানন বলা হত। শিবভক্ত রাবণ ছিলেন অসুরদের অধিপতি। অশুভ ও অনিষ্টকারী শক্তির প্রতীক রাবণ।
ছলনা করে রামের স্ত্রী সীতাকে অপহরণ করেছিলেন রাবণ। লঙ্কাধিপতিকে হত্যা করে স্ত্রীকে পুনরুদ্ধার করেন রঘুকুলপতি।
লঙ্কায় যুদ্ধের আগে রাবণকে পরাস্ত করতে দুর্গাপুজা করেছিলেন রামচন্দ্র। দেবীর পুজোয় ১০৮টি পদ্ম লাগে। কথিত রয়েছে, ১০৭টি পদ্ম জোগাড় করতে পেরেছিলেন রাম। একটি পদ্মের অভাব পূরণ করতে নিজের ডান চোখ দিতে যাচ্ছিলেন সীতার স্বামী। তাঁকে নিরস্ত করেন আদিশক্তি। প্রসন্ন হয়ে সাফল্যের আশিস দেন শিবের জায়া।
দেবীকে পুজোর পর দশম দিনে অর্থাত্ দশমী বা দশেরাতে রাবণকে বধ করেন রাম।
রাবণ বধই নয়, পুরাণ মতে, দশমীতেই মহিষাসূরকে দমন করেছিলেন অসুরদলনী। অশুভ শক্তির উপরে জয়ের দিনই উদযাপিত হয় বিজয়া।
রামবেশে এক বালকের প্রতীকী তির ছোড়াই রাবণদহনের রীতি। তবে এখন রাজনীতিবিদরাই 'রাম'-এর অবতার নিয়ে ধনুক হাতে তুলে নেন। বাদ যান না প্রধানমন্ত্রীও।
মহাভারতের সঙ্গেও যোগ রয়েছে বিজয়া দশমীর। ১২ বছর অজ্ঞাতবাসে থাকার পর নিজেদের অস্ত্র ফিরে পেয়েছিলেন পাণ্ডবরা।