প্রবল বৃষ্টিতে আশ্চর্যজনকভাবে সেরে গেল দিল্লির বহুপুরনো `রোগ`
শীতকাল মানে দিনের বেলাতেই প্রায় অন্ধকার দিল্লি। গত কয়েক বছর এমনই অবস্থা হচ্ছে রাজধানীর। আসলে শীতকালে দিল্লির আকাশে ভাসমান ধূলিকণা এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকছে। বাড়ছে দূষণ। কমছে দৃশ্যমানতা।
দূষণমুক্ত দিল্লি গড়ব। এখন এটাই যেন রাজধানীবাসীর অঙ্গীকার। আট থেকে আশি, সবাই যেন দূষণের দিল্লি নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন।
দিল্লির যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে আবর্জনা পোড়ানোর পদ্ধতি দূষণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলছে।
দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কল-কারখানার ধোঁয়া রাজধানীর দূষণের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, দিল্লিতে জনসংখ্যার বাড়বাড়ন্ত দূষণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলেছে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে বছরে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন টন খড় পোড়ানো হয়। যার প্রচ্ছন্ন প্রভাব পড়ে দিল্লির আবহাওয়ায়।
দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান ট্রাফিকের সমস্যা দূষণের পিছনে অন্যতম কারণ। দিল্লির ট্রাফিক জ্যাম এমনিেই কুখ্যাত। এবার সেই ট্রাফিকের সমস্যা দিল্লির পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে।
গত ক'দিন ধরে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। দিল্লির বিভিন্ন জায়গা এখনও জলমগ্ন। তার উপর দূষণের সমস্যাও ছিল। ১৩ জুন পর্যন্ত দিল্লিতে দূষণের অবস্থা মাত্রাতিরিক্ত ছিল।
এক বছরে এই প্রথম স্বচ্ছ বাতাসে শ্বাস নিতে পারল দিল্লিবাসী। পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৭ জুলাই বছরে প্রথমবার দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমাণ রেকর্ড অঙ্কে কম ছিল।প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জন্যই এমন হয়েছে। একদিকে জমা জলের সমস্যা। কিন্তু আপাতত অন্যদিক থেকে স্বস্তি পেলেন রাজধানীর বাসিন্দারা।