পরপর দুর্ঘটনা, সোমবার ফেরার পথে মৃত্যু শিশু, মহিলা-সহ ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের
একের পর এক পথ দুর্ঘটনা। কয়েক হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়েও বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের। সোমবার তিনটি রাজ্যে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশু ও মহিলাসহ চার পরিযায়ী শ্রমিকের। এই নিয়ে গত ৫ দিনে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ২৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক।
সোমবার রাতে হরিয়ানা আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট একটি এস ইউ ভি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে দুই পরিযায়ী শ্রমিককে। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। দুজনেই পায়ে হেঁটে বিহারে তাঁদের বাড়ি ফিরছিলেন।
মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর প্রদেশের জৌনপুর রওনা দিয়েছিলেন একদল পরিযায়ী শ্রমিক। অটো ভাড়া করে তিন দিন ধরে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের কাছাকাছি এসে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার উত্তরপ্রদেশে ফতেপুরে ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর ৬ বছরের শিশুর।
ককে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। ২৫ বছর বয়সী শিবকুমার দাস উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে হাজার কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি থেকে বিহারের চম্পারণে। ১০ মে পর্যন্ত ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে লখনউয়ে রাস্তায় এক ডিভাইডারে বসে মুড়ি খাচ্ছিলেন ২৬ বছরে সাগির আনসারি। আচমকা গাড়ির ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আনসারির।
৯ মে ২০২০: ট্রাকে চড়ে হায়দরাবাদ থেকে মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসিতে বাড়ি ফিরছিলেন ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। মধ্যপ্রদেশে একটি গ্রামে উল্টে যায় আম বোঝাই সেই ট্রাক। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৫ জন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১৫ জনকে। ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে ৮ মে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে রেললাইন ধরে যাওয়ার সময়ে ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন জনা ২০ পরিযায়ী শ্রমিক। রাতে ট্রেনের ধাক্কায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের তালিকায় রয়েছে শিশুও।