Durga Puja 2024: বিসর্জনের আগে দেবীকে অকথ্য গালিগালাজ! শেকল বেঁধে নামানো হয় বেদি থেকে...
প্রসেনজিত্ মালাকার: দুবরাজপুরের শ্মশান কালীকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করতে নিয়ে যান দাস পরিবারের সদস্যরা।
প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর দশমীর পর একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন মা শ্মশান কালীর বিসর্জন হল।
প্রতিবছর শ্মশানকালীর বিসর্জন দেখতে দুবরাজপুর শহর ছাড়াও আশেপাশের গ্ৰাম থেকে হাজারে হাজারে মানুষের ভিড় করেন।
কথিত আছে শতাব্দী প্রাচীন ধরেই দাস পাড়ার মানুষই এই বিসর্জন করে আসছেন। একসময় ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মা কে বের করা হত।
কিন্তু বর্তমানে সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গেছে। তবে এখনো মা কে শেকল ও দড়ি বেঁধে মাকে বেদি থেকে নামানো হয় এবং বিসর্জন করা হয়।
পরম্পরা অনুযায়ী দাসপাড়ার লোকেই বিসর্জন করেন। শ্মশানে কালী বিসর্জন কে ঘিরে দাস পরিবারের লোকেদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসেন।
মায়ের মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে সারাবছর পুজো ও দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে বৈষ্ণবদের হাতে আর বিসর্জনে হয় দাস পরিবারের হাত দিয়ে, এটাই পরম্পরা ভাবে চলে আসছে।
বিশালাকার মায়ের মূর্তি শ্মশানে কালী মন্দিরের পিছনে থাকা রুজের পুকুরে বিসর্জন করা হয়।
দাস পরিবারের সদস্য গুরুপদ দাস জানান, এক সময় মা কে বেদি থেকে নামাতে গালিগালাজ করা হতো এবং ঝাঁটাও দেখানো হতো কিন্তু বর্তমান সভ্য সমাজে তা এখন আর হয় না। তবে এখনও মাকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামানো হয়।
এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দাসপাড়ার প্রত্যেকের বাড়িতেই আত্মীয়স্বজন আসেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।