Dilip Ghosh: টিএমসি-র ঝান্ডাটা হচ্ছে ব্যবসার লাইসেন্স: দিলীপ ঘোষ
অয়ন ঘোষাল: দিলীপ ঘোষ বললেন, 'টিএমসি এখন মরা বাঁচার লড়াই হচ্ছে। সন্দেশখালির কিছু লুকানোর মতো কিছু আছে তাই বারবার চেষ্টা হচ্ছে। বড় অপরাধী তাকে বারবার বাঁচানোর চেষ্টা করছে। পারেনি তারপর সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেছে। সেখানে থাপ্পড় খেয়েছে। যে অপরাধ করেছে আর এই ধরনের নেতাদের দিয়ে পার্টি চলছে তারা যদি একটা ধরা পড়ে চলে যায় পার্টিটা উঠে যাবে। সেই জন্য টিএমসি এখন মরা বাঁচার লড়াই হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালি এবং শাজাহানকে বাঁচাবার। যেন সাধারণ মানুষকে চোখের আড়ালে রাখতে হবে ওখানে যা ঘটছে, মিডিয়ার মাধ্যমে লোক তো জেনে যাচ্ছে দেশ জেনে গেছে প্রধানমন্ত্রী অব্দি চলে এসেছে। এভাবে আর কদিন আটকে রাখবে।
'অনেকদিন ধরে উনি এরকম বলছেন, কিন্তু লেগেও আছে। দু'বার তিনবার তো এমএলএ হলেন। আর এখন এটা ঠিক হয়তো অন্য কোন কাজ নেই, ওই জন্য এরকম বলছেন; ছাড়লে ছেড়ে দিন। লোকের জন্য উনি কী করেছেন। উনি কতবার বলেছেন। সেজন্য এটা ঠিকই আছে। পার্টি ওনাকে ধরে রেখেছেন। দেব ও মাঝেমধ্যে বলছে ছেড়ে দেবো। ম্যায়নে কমলি কো ছোড় দিয়া, কমলি মুঝে ছোড়ি নেহি'।
'কেন্দ্র কর্মচারীদেরকে যা দেওয়া উচিত সুবিধা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ তারাও যাতে উপকৃত হয় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। পশ্চিমবাংলায় খালি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ঘোষণা হয়ে যায় তবে কবে পাবে তা কেউ জানে না। যেহেতু কম্পিটিশন করতে হবে, দেখাতে তাই বলা হচ্ছে। ভাঁড়ে মা ভবানী। পার্টির লোকের পকেটে পয়সা চলে যাচ্ছে কর্মচারীদের কী করে দেবে'।
'টিএমসি ঝান্ডাটা হচ্ছে ব্যবসায় লাইসেন্স। সব জায়গায় পার্টি অফিসগুলো হচ্ছে সব ডিল করার অফিস। তো সেই জন্য এটা নতুন কিছু নয়। সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটিতে লোক ঢোকানো হয়েছে টাকা নিয়ে। প্রমাণ হয়েছে, সমস্ত ক্ষেত্রে এটা ছড়িয়ে পড়ছে। সবাই জানে মানুষ জানে। মানুষ বলবে। কথা বললেই তো সন্দেশখালি হয়ে যাবে'।
'এই যে দুয়ারে সরকার করা আছে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য তো এত টাকা খরচা করে কর্মচারীদের তুলে নিয়ে এসে এত নাটক করার কী আছে। মানুষ যদি না জাস্টিস পায়। মানুষ যদি সমস্যার সমাধান না পায় এটা তো ওখানে সমাধান করার কথা ছিল। কেন হচ্ছে না পার্টির লোক ইনভল্ভ আছে জমি দখল করা আছে ছাড়াবার নেই'।
'কোথায় কে সভাপতি কেউ চেনে না। এসব বলে একটু নামটা জানাচ্ছিল কে এবং অনেক তোলাবাজ আছে ইলেকশন আসুক বোঝা যাবে। কে কোথায় আছে এসব শুনেছি আমরা তারপরে বাংলার মানুষ আমাদের জিতিয়েছে। যত সময় আছে বুঝতে পারছি যে জল শুকিয়ে যাচ্ছে তাই লাফালাফি হচ্ছে'।
'চলবে যতক্ষণ যেখানে ওর টাকা পয়সা আছে। ১৩ কোটি টাকা মাত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে এবং কয়েকশ কোটি টাকা আছে যেখানে ইনভেস্ট আছে। কলকাতার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে ইনভেস্ট করেছে যে জমি জায়গা বাড়ি ভেরি এসব কিনে রেখেছে যত তদন্ত এগোবে সব বেরোবে ওদের লোকই বলে দেবে'।