মারাত্মক নাক ডাকার বিপদ কী জানেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘুমের মধ্যেই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়াও। ডেকে আনতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। সাবধান হোন এখনই। উপযুক্ত ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
আধুনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে ঘুম স্বাভাবিক করা সম্ভব। নাক ডাকা বন্ধ করারও উপায় রয়েছে। শুধু একরাত নয়। রাতের পর রাত। ঘুমোলেই ডাকতে থাকে নাক।
অস্বাভাবিক নাক ডাকার কারণে কখনও কখনও ভেঙে যায় ঘুমও। আপনি জানেন কি, এর ফলে অজান্তেই ঘুমের মধ্যে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক? তার পরিণতিও হতে পারে ভয়ঙ্কর। মৃত্যু।
অনেকসময় নাকে মাংস বৃদ্ধির ফলে নাকের নালি ছোট হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়। কমে যায় গলার পেশির নমনীয়তা। তখন নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে।
জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে বা চোয়ালে কোনও সমস্যা থাকলে নাক ডাকতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা ঘুমের ওষুধ এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ গরমোনের আধিক্যজনিত রোগেও নাক ডাকতে পারে। অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমোলে জিভ পিছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়।
গর্ভবতী নারীরা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকলে বিপদ হতে পারে গর্ভস্থ সন্তানেরও। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, গর্ভবতী নারীরা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন রাত্রি নাক ডাকলে তাঁদের সন্তানের ওজন অন্যান্য নারীর সন্তানের তুলনায় কম হয়।ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কী করবেন? শোয়ার ভঙ্গি বদলান,ধূমপান ছাড়তে হবে,মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন,অতিরিক্ত ওজন কমান, শরীরচর্চা, বিছানা পরিষ্কার রাখুন, জৈবিক কারণ খুঁজুন, দুশ্চিন্তা কমান