Operation-এর পর আস্ত তোয়ালে থেকে গেল রোগীর পেটে, চিকিত্সকদের ভুলের ভয়ানক পরিণতি
এত বড় ভুল! কী করে সম্ভব! আস্ত একখানা তোয়ালে রয়ে গেল রোগীর পেটে। ডাক্তারদের এমন ভুলে ভয়ানক বিপদের মুখে পড়়লেন সেই রোগী।
কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার এক নার্সিংহোম-এর ঘটনা। সিজারিয়ান ডেলিভারির পর রোগীর পেটে আস্ত একটা তোয়ালে ভুলে রেখে দিয়েছিলেন চিকিত্সকরা।
৭৭ দিন ধরে সেই তোয়ালে রইল রোগীর পেটে। সঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হল তাঁকে। সবটাই হল চিকিত্সকদের ভুলে।
পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হওয়ায় ফের চিকিত্সদের কাছে যান ওই রোগী। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, তাঁর পেটের ভিতর রয়েছে তোয়ালে।
সেই তোয়ালে বের করতে আরও একবার ওই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়। চিকিত্সক ও ওই নার্সিং হোমের অসাবধানতার জন্য দিনের পর দিন অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে হল ওই রোগীকে। আর তাই তিনি পুলিসের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও অভিযোগ দায়ের করেছেন ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলা। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিস।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, ডেলিভারির দশ দিন পরও তাঁর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা ছিল। তখনই তিনি চিকিতসকদের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তাররা বলেন, এমন যন্ত্রণা নাকি স্বাভাবিক।
এর পর স্থানীয় একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ইউএশজি করান ওই মহিলা। তাতে ধরা পড়ে তাঁর পেটের ভিতর অনেকটা জায়গা জুড়ে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। কিন্তু সেটা আদতে রক্তের জমাট ছিল না। ছিল আস্ত একটি তোয়ালে।
নার্সি হোমের মালিক ও সেই মহিলা ডাক্তার, যিনি অপারেশন করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।