Dog : জানেন কি, ভারতে এই সাত জাতের কুকুর পোষা অপরাধ?
সৃজিতা মৈত্র: সম্প্রতি দিল্লি ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে পোষ্য কুকুর নিয়ে নাজেহাল অবস্থা। কখনও লিফটে থাকা বাচ্চা ছেলেকে পোষ্য কুকুর কামড়ে দিচ্ছে এবং তাতে কুকুরের মালিক নির্বিকার। আবার কখনও জোম্যাটো বয়ের লিঙ্গ ছিঁড়ে দেওয়ার মতোও ঘটনা সামনে আসছে। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকায় বহু মানুষ এই বিষয়ে সচেতনতা প্রচারে সোচ্চার হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুকুরের দুর্ব্যবহারের কারণ খোদ কুকুরের মালিক। মালিক যদি কুকুরকে সঠিকভাবে লালন-পালন না করতে পারে, সেক্ষেত্রে এরকম সমস্যা প্রায়শই দেখা যাবে। তবে বহু কুকুর এমনও আছে যাদের হিংস্র স্বভাবের কারণে ভারতে তাদের পোষা আইনত নিষিদ্ধ। তাই আপনার বাড়ির আশেপাশে এই ৬ টি প্রজাতির কুকুরকে দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
আমেরিকান বুলডগ আকারে যেমন বড় তেমনই পেশিবহুল। সাধারণত খামারগুলিতে রক্ষণাবেক্ষনের কাজে এই কুকুরগুলিকে পোষা হতো।
বলা হয়, আমেরিকান পিটবুল টেরিয়ারের অপরিহার্য বৈশিষ্ট হল শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও জীবনের জন্য উদ্দীপনা।
উল্ফডগ বা নেকড়ে কুকুর সাধারণত খুব স্বাস্থ্যবান হয়। এই ধরণের কুকুরের মেজাজ খুব বেশি হয় এবং খুবই আক্রমনাত্মক স্বভাবের হয়।
২০১১ সালে বুয়াবলকে রাশিয়া একটি বিশেষ বিপজ্জনক ব্রিড হিসাবে ঘোষনা করে। শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য বহু দেশে এই কুকুর পোষা আইনত নিষিদ্ধ।
সাধারণত পুলিশের সুরক্ষার কাজে ডোগো আর্জেন্টিনোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই ব্রিডের কুকুরের মেজাজ খুবই অস্থির প্রকৃতির।
যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, তুরস্কসহ বহু দেশে ফিলা ব্রাসিলিরোকে পোষা আইনত নিষিদ্ধ। কারণ এই প্রজাতির কুকুরকে বিপজ্জনক কুকুরের তালিকায় শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
এই প্রজাতির কুকুর বিশালাকৃতির হয়। উচ্চতা ৬০-৭৫ সেমি ও ওজন ৫০-৭০ পাউন্ড হয়। স্বাভাবিকভাবেই এদের শক্তিও খুব বেশি।