Team India`s New Coach Hunt: অনুরোধেও রাহুলের `না`! মুখ ফেরালেন লক্ষ্মণও! জেরবার জয়রা বাছছেন কাকে?
তীরে এসেই ডুবেছিল তরী! বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। গতবছর ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অধরাই থেকে যায় 'বদলাপুর'। ফাইনালে ভারত হেরে যায় ছয় উইকেটে। বিশ্বসেরা হয় সেই অস্ট্রেলিয়া। প্রায় এক লক্ষ দর্শকের প্রবল শব্দব্রহ্ম মিলিয়ে গিয়েছিল হারের হাহাকারে! আর ঠিক ওইদিনই রোহিত শর্মাদের কোচ হিসেবে চুক্তি শেষ হয়ে যায় রাহুল দ্রাবিড় ও তাঁর সাপোর্ট স্টাফদের। 'দ্য় ওয়াল' এবং তাঁর টিমকেই দায়িত্বে বহাল রাখে বিসিসিআই । তবে এবার যে যেতেই হবে! হ্য়াঁ, দ্রাবিড়ের চুক্তি শেষ হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই। বোর্ড খুঁজছে নতুন খোঁজ।
একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার ও বোর্ডের আধিকারিকরা চেয়েছিলেন রাহুল আর অন্তত একটি বছর থেকে যান। কিন্তু রাহুল সাফ বলে দিয়েছেন যে, জয় শাহদের সংসারে তিনি আর থাকতে রাজি নন। দ্রাবিড় এমনিও 'অটোমেটিক এক্সটেনশন' পাবেন না। মানে চুক্তি নবীকরণ হবে না। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন যে, 'আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোচের আবেদনের জন্য বিজ্ঞাপন দেব। রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাঁকে দায়িত্বে থাকতে হলে পুনরায় আবেদন করতে হবে। তবে আমরা দীর্ঘমেয়াদী কোচ খুঁজছি, যাকে তিন বছরের জন্য কোচ করা হবে।
ভিভিএস লক্ষ্মণকে টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে অনেকেই চেয়েছিলেন। যিনি এখন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বে। অতীতে যে কাজ করতেন দ্রাবিড়। লক্ষ্মণ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের সময় ভারতের কোচ ছিলেন। ভারত ২-০ সিরিজ জিতেছিল। রাহুলের অবর্তমানে একাধিকবার তিনি স্ট্যান্ড-ইন কোচ হিসেবে নিজের কোচিং দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে লক্ষ্মণও জানিয়েছেন যে, তিনি রোহিতদের হেডস্য়ার হতে রাজি নন।
এক সর্বভারতীয় দৈনিকের রিপোর্ট অনুসারে, বিসিসিআইের নজরে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। ভারতের কোচের ভূমিকায় তাঁকে উপযুক্ত প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করেছেন অনেকেই। আইপিএলে সিএসকে-র সঙ্গে তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড, ম্যান ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা এবং তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে সেরাটা তুলে আনার ক্ষমতাতেই বিসিসিআই মোহিত হয়েছে। তাঁকে রোহিতদের কোচ হওয়ার আবেদন করেছ জয়ের বোর্ড! যদিও এই সিএসকে বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছে। দলের সিইও কাশী বিশ্বনাথন বলেছেন, 'এরকম কিছুই আমি শুনিনি। ফ্লেমিং বা সিএসকে-র সঙ্গে এই ব্য়াপারে বিসিসিআই যোগাযোগ করেনি।'
রিকি পন্টিংয়ের নামও ভীষণ ভাবে কোচের পদপ্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। দিল্লি ক্য়াপিটালসের অধুনা কোচের বায়োডেটা প্রশ্নাতীত। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে বিশ্ব শাসন করেছেন তিনি। সর্বকালের সেরা অধিনায়কদেরই একজন পন্টিং। তিনি কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেশ ভালো ভাবেই চেনেন।
জানা যাচ্ছে তিন বিদেশি কোচ রোহিতদের মাথায় বসার লড়াইয়ে আছেন। তারাঁ টম মুডি, অ্য়ান্ডি ফ্লাওয়ার ও জাস্টিন ল্য়াঙ্গার। কোচ হিসেবে যাঁদের বায়োডেটা রীতিমতো সমৃদ্ধ। সে জাতীয় দল হোক বা আইপিএল। তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার খেলা ছাড়ার পর কোচ হিসাবে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন।
শোনা যাচ্ছে ভারত বিদেশি কোচের জন্য়ই মরিয়া। এই প্রসঙ্গে জয় বলেছেন, 'দেখুন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি (ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি, সিএসি)। ওঁরা যা বলবেন আমি শুধু সেটাই বাস্তবায়ন করব। সিএসি যদি বিদেশি কোচ মনোনীত করেন, তাহলে সেখানে আমি হস্তক্ষেপ করতে পারি না।' বিসিসিআইয়ের সিএসি-তে রয়েছেন যতীন পরাঞ্জপে, অশোক মালহোত্রা এবং সুলক্ষণা নায়েক।
ভারত এই বছরের শেষের দিকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আগামী বছর রয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য়ও লড়বে ভারত। তিন ফরম্য়াটে বিশ্বের অন্য়তম সেরা দলের কোচ হওয়া মোটেই সহজ নয়। প্রত্য়াশার চাপ থাকবে গগনচুন্বী। ২০২৭ সাল পর্যন্ত কোচের রাতের ঘুম উড়বে। ফলে অনেকে এই কঠিন চ্য়ালেঞ্জ নিতেও ভাবছেন বারবার।