কোন্নগরের কুমারী-ই বেলুড় মঠের `উমা`, কামারপুকুর-তারাপীঠ-জলপাইগুড়িতে কে? রইল পরিচয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাষ্টমীর সকালে মহা সাড়ম্বরে কুমারী আরাধনা সম্পন্ন হল বেলুড় মঠ থেকে শুরু করে কামারপুকুর, তারাপীঠ ও জলপাইগুড়িতে। বেলুড় মঠের এবারের কুমারী হুগলির কোন্নগরের আরাত্রিকা রায়। বয়স ৫ বছর ৭ মাস।
ছোট্ট আরাত্রিকাকে 'উমা' রূপে পুজো করা হল বেলুড় মঠে। কুমারী পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ 'উমা'কে অঞ্জলি দেন। অঞ্জলি দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। তারপর উপহার তুলে দেন এবারের 'উমা' আরাত্রিকার হাতে।
বেলুড় মঠের পাশাপাশি বহু বছর বাদে এবার আবার কুমারী পুজো হল তারাপীঠেও। ৯ বছরের 'কুমারী' সুপর্ণা চক্রবর্তীকে তারাপীঠে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়। তারাপীঠ মন্দিরের মূল গর্ভগৃহের সামনে যে নাটমন্দির রয়েছে, সেই নাটমন্দিরেই পুজো হয়।
চিরাচরিত প্রথা মেনে মহাষ্টমীর সকালে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল কামারপুকুরেও। এবারে কামারপুকুরে কুমারী হয়েছে কৃত্তিকা ভট্টাচার্য। আরামবাগ শহরে বাড়ি কৃত্তিকার। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে জাঁকজমক পূর্ণভাবেই কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল কামারপুকুরে।
ওদিকে জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজোয় দেবী জ্ঞানে পূজিত হল ৬ বছরের আরাধ্যা। জলপাইগুড়ির মোহন্ত পাড়ার বাসিন্দা আরাধ্যা চক্রবর্তী। পুরাণমতে দেবী দুর্গা কুমারী রূপেই আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবতাদের সামনে। সেই রীতি বহন করেই মহাষ্টমীর সকালে কুমারীপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কথিত আছে, কুমারীপুজো ছাড়া যথাবিধি হোম-যজ্ঞ করেও দুর্গাপুজোর সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায় না। তাই কুমারী পুজো দুর্গাপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে এক আচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুমারী পুজোয় কোনও জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদ নেই। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যে কোনও কুমারীর পুজো করা যায়।