Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় ব্রিটিশ-বধ! পুরনো রীতিতেই দেবী-বন্দনা ভবানীপুরের দে পরিবারে..

Sat, 12 Oct 2024-9:00 pm,

অয়ন ঘোষাল: দেশ তখন পরাধীন। ব্রিটিশদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের দে বাড়িতে শুরু হয় দুর্গাপুজো। যে পুজোর সঙ্গে আজও জড়িয়ে আছে স্বদেশি আন্দোলনের চিহ্ন।

১৮৭০ সাল, তুলো ব্য়বসা করে প্রভূত সম্পত্তির মালিক হন রামলাল দে। স্বপ্নাদেশে বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন তিনি।

পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে দে পরিবারের পুজো ছিল স্বদেশিয়ানার ছাপ। যা এখনও বহন করে চলেছেন পরিবারের বর্তমান সদস্যরা।

কোট-প্যান্ট পড়া ধবধবে সাদা চুল ও সাদা চামড়ার ব্রিটিশ সাহেবকে অসুর রূপে বধ করেন দেবী দুর্গা। দেবীর বাহন সিংহের গায়ের রং-ও সাদা।

দেশ এখন স্বাধীন। কিন্তু দে পরিবারের পুজোয় এক চালায় ত্রিশূল দিয়ে সাহেব রুপী অশুভ শক্তির বিনাশিনী দেবী দুর্গার সেই রূপ আজও অপরিবর্তিত।

পুরনো রীতি মেনেই দে পরিবারে পুজিতা হন দেবী দুর্গা। মূর্তি নিমাণের পর, দেবীকে সাজিয়ে তোলেন পরিবারের সদস্য়রাই। চতুর্থীর দিন দেবীর জন্য় নারকেল নাড়ু তৈরি করেন পরিবারের মহিলারা।

সিঁদুর দিয়ে রাঙানো অস্ত্র দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বোধনের প্রাক্কালে। নিত্যভোগে থাকে  ১৩  লুচি ও ১৩ রকমের মিষ্টি। 

অষ্টমী তিথিতে কুমারী ও সধবা পুজো। সেদিন মাথায় ও দুই হাতে সরা নিয়ে ধুনো পোড়ান বাড়ির মহিলারা। বাড়ির ঠাকুর দালানে জ্বলে ওঠে য় ১০৮ প্রদীপ। দেবীকে পরানো হয় ১০৮ পদ্মের মালা।

বিজয়া দশমীর দিন জল-আয়নায় দেবীর চরণ দর্শন, দেবীকে বরণ ও সিঁদুর খেলার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনও প্রতিমা বাঁশে বেঁধে, কাঁধে করে হেঁটে আদি গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। 

বিসর্জনের পর সেই কাঠামোই তুলে এনে আবার তার ওপরে নতুন করে খড়, মাটি বেঁধে পরের বছরের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। ১৫৪ বছর ধরে একই কাঠামোতে পুজো হয়ে আসছে এই ভবানীপুর দে বাড়িতে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link