R G Kar: আর জি কর আবহে কাটেনি বাংলার অচলাবস্থা! ঘটছে একের পর এক ঘটনা...
আর জি কর ঘটনার পর কেন্দ্রীয় হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় তৎপর কেন্দ্র। প্রত্যেকটি হাসপাতালকে "জিরো টলারেন্স" জোন করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির আরএমএল (RML) হাসপাতালে গত এক মাসে ১০ টি ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি অনেক হাসপাতাল এবং হোস্টেলে কোথাও কোথাও ডেলিভারি বয়দের। হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে।
বাড়ানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা। প্রতিটা AIIMS নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে জম্মু, ভোপাল এবং ঋষিকেশে আইএমএস DGRE (Directorate General Resettlement)-তে। সেখানেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
ইতিমধ্যেই, আর জি কর হাসপাতালে 'রক্তমাখা' গ্লাভসে এসেছে নয়া মোড়। প্রশ্ন উঠছে 'রক্তমাখা' গ্লাভস কীভাবে এল আর জি করে? খোদ মেডিক্যাল সুপারের দাবি, 'অর্ডার দেওয়া গ্লাভসের ব্যাচ নম্বরে কোনও মিল নেই। উদ্ধার হওয়া গ্লাভসের ব্যাচ নম্বর পুরোপুরি আলাদা'। তৈরি করা হল তদন্ত কমিটি।
আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ফরেনসিক রিপোর্টটা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট যে রিপোর্টটা দিয়েছে, আর একবার তারা পাঠাচ্ছে'। সঙ্গে দাবি, 'গ্লাভসের যেটা ইস্যু করা, আমাদের কাছে যেটা স্লাপাই হয়েছিল, যেটা আমাদের কাছে আসে, ৭০০৭ নম্বর ছিল, কিন্তু যে গ্লাভসে দাগ পাওয়া গিয়েছে, তার নম্বরের সঙ্গে কোনও মিল পাচ্ছি না। অন্য নম্বর। তাহলে এই গ্লাভসের সাপ্লাই হল কী করে? তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে দেখছে। ২-৩ দিনের মধ্যে বার করার চেষ্টা করছি, গ্লাভস আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এল কী করে? সাপ্লাই হল কী করে, যখন আমরা অর্ডারই করিনি। আমাদের কাছে কোনও রিসিভ নেই। রিসিভ আছে যে বাক্সটার তারমধ্যে গ্লাভসটা এসেছে, গ্লাভসটা কিন্তু আমাদের এখানে কোনও রিসিভ হয়নি'।
পাশাপাশি বাংলায় ঘটে যায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আরজি আবহে এবার চিকিত্সকের রহস্যমৃত্যু। হোটেলের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করল পুলিস। দেহের পাশে পাওয়া গিয়েছে কেটামাইন ইনজেকশন, সুইসাইড নোট। সূত্রের খবর তেমনই। চাঞ্চল্য ঝাড়গ্রামে।পুলিস সূত্রে খবর, মৃত চিকিত্সকের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য। বাড়ি, কলকাতায় বেহালায়। ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। থাকতেন ঝাড়গ্রাম শহরেরই ঘোড়াধরা এলাকায় একটি গেস্ট হাউসের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে। সঙ্গে আরও দুই চিকিত্সকও।
২ চিকিত্সককে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটে পৌছঁন দীপ্রের বান্ধবী। পুলিসের দাবি, তাঁরাই ফ্ল্যাটে দরজা ভাঙেন। দেখেন, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দীপ্র। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। কীভাবে মৃত্যু? তা এখনও স্পষ্ট নয়।