Heavy Rain: প্রায় সমস্ত বাঁধই ছাড়ছে জল! গোটা রাজ্যই কি চলে যাবে জলের তলায়?
অতি ভারী বৃষ্টিতে জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি। মাইথন জলাধার থেকে ১২০০০ কিউসেক ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৬০০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। দুই জলাধার থেকে মোট ৪৮০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়ছে।
সকাল ৬টা পর্যন্ত এইভাবেই ছাড়া হল জল। দুই জলাধারের জল গিয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজে পৌঁছয়। দুর্গাপুরে জল বেড়ে যাওয়ায় তারাও জল ছাড়তে শুরু করে।
দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ৭০ হাজার কিউসেক।
নিম্নচাপের বৃষ্টি, সঙ্গে জলাধার থেকে ছাড়া জল। সব মিলিয়ে হু হু করে জল বাড়ছে ঘাটালে। ঘাটালের ঝুমি নদীতে বিপুল জল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের মনসুকা এলাকায় ঝুমি নদীর জলে প্লাবিত সেখানকার রাস্তাঘাট। জল পেরিয়েই চলছে যাতায়াত।
একদিকে নিম্নচাপের বৃষ্টি, অপরদিকে হুগলির দ্বারকেশ্বর নদীতে প্লাবন। জলের চাপে লাফিয়ে-লাফিয়ে জল বাড়ছে ঘাটালের ঝুমি নদীতেও। গতকালই ঝুমি নদীর উপর পারাপারের সাতটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল ৫০টিরও বেশি গ্রাম। নৌকো চেপে ঝুমি নদীতে চলছে পারাপার।
ঝুমি নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ঘাটালের খড়ার থেকে মনসুকা যাওয়ার যে গ্রামীণ সড়ক, সেই রাস্তা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ঘাটালের শিলাবতী, কেঠিয়া-সহ একাধিক নদীতে বাড়ছে জল। শিলাবতী নদীর জল আরও বাড়লে প্লাবিত হতে পারে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা।