মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার করছেন! পদত্যাগ অসমের তৃণমূল সভাপতির
এনআরসি ইস্যুতে দলের অন্দরেই ধাক্কা খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল ছাড়লেন অসম তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সহ আরও ২ শীর্ষ নেতা।
পদত্যাদ করলেন অসমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দ্বীপেন পাঠক-সহ আরও ২ নেতা দিগন্ত সাইকিয়া এবং প্রদীপ পাচনি।
উল্লেখ্য, দ্বীপেন পাঠক ছিলেন অসমের একমাত্র জয়ী বিধায়ক (২০১১-১৬ বিধানসভা)।
কী কারণে পদত্যাগ করলেন? সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দ্বীপেন পাঠক নিউজ এইট্টিন-কে জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে কিছুই জানেন না। আর না জেনেই উনি এনআরসি নিয়ে কথা বলছেন। অপ্রপচার করছেন। ওনার ভাবনাচিন্তার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক”।
দ্বীপেন পাঠকের দল ছাড়া নিয়ে তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা। টেলিভিশন চ্যানেলে সেই নেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন তাতে আমার লজ্জা হচ্ছে। দল ছেড়ে ঠিকই করেছেন দ্বীপেন পাঠক”।
উল্লেখ্য, অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিজেপিকে দাঙ্গাবাজ দল বলে কটাক্ষ করার সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ বিজেপি দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছেন”।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার অসমে একটি ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠায় টিএমসি। সেখানে ছিলেন রাজ্যের এক বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ ৬ তৃণমূল সাংসদ।
আজ অসমের শিলচর বিমানবন্দরে নামতেই তাঁদের আটক করে অসম পুলিস। বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিসের।
এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি মন্ত্রী বাবুল সু্প্রিয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তির কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দীলিপ ঘোষ পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, “তৃণমূল নাটক করছে”।