শহর জুড়ে লাল-হলুদ! ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উত্সবের ঢাকে পড়ল কাঠি
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনের উত্সব শুরু হয়ে গেল ২৮ জুলাই, রবিবার সকাল থেকেই।
রবিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর কুমোরটুলির বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয় সেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
শতবর্ষের ঢাকে কাঠি পড়ল কুমোরটুলি পার্কের মঞ্চে। সেখানেই মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়।
ক্লাব-কর্তাদের পাশাপাশি সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর নাতি অমরেশ চৌধুরী, ভাইচুং ভুটিয়া, প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, এমনকি গোষ্ঠ পালের ছেলে নীরাংশু পালও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মন্ত্রী শশী পাঁজাও।
কেউ বাইকে চেপে, কেউ আবার ঘোড়ায় টানা গাড়িতে চড়ে, লাল-হলুদ জার্সি পড়ে আর হাতে ইস্টবেঙ্গলের পতাকা নিয়ে কুমোরটুলি পার্ক থেকে হাজার হাজার সমর্থক পৌঁছে যান ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে।
কুমোরটুলি পার্ক থেকে মিছিল করে হাতিবাগান, কলেজ স্ট্রিট, ওয়েলিংটন হয়ে শোভাযাত্রা পৌঁছয় ক্লাবে।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শতবর্ষ উপলক্ষ্যে তৈরি স্লোগান- ছিন্নমূল বাঙালির আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা, পায়ে পায়ে ১০০ - লেখা বিশাল বিশাল ট্যাবলো।
সমর্থকদের লাল-হলুদ জার্সিতে কারও বুকে লেখা- শ্রদ্ধার শতবর্ষ, আবার কারও জার্সির পিছনে লেখা- গর্বের শতবর্ষ কিংবা স্পর্ধার শতবর্ষ।
ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে পৌঁছে শহর ঘুরে আসা মশাল তুলে দেওয়া হয় সুভাষ ভৌমিক, বাইচুং ভুটিয়া সহ অন্যান্য প্রাক্তন ফুটবলারদের হাতে।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও ক্লাব-তাঁবুতেও সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।