কী কী প্রমাণপত্র থাকলে আপনি ভারতীয় নাগরিক?
ভারতে সর্বপ্রথম জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের বিষয়টি ভাবা হয় ১৯৫১ সালে। সেই বছর জনগণনার পরই তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় নাগরিকের পঞ্জীকরণের বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চালায়।
সম্প্রতি অসমের ‘৪০ লাখ নাগরিক’ জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ থেকে বাদ পরেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপে সারা দেশেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সংসদের ভিতর ও বাইরে উত্তাল হয়েছে বিরোধীরা। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সরকার বিভেদের রাজনীতি করছে। দেশে গৃহ-যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।
দেশের নাগরিকত্ব থেকে বাদ পরা অসমের সিংহভাগ মানুষই শরণার্থী বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, এনআরসি থেকে বাদ পরা বেশিরভাগ মানুষই নাকি অনুপ্রবেশকারী। ৭১ সাল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরাই এই রাজ্যে এসে ঠাঁই নিয়েছেন বলে দাবি শাসক দলের।
সম্প্রতি অসম সরকার রাজ্যের নাগরিকদের কিছু নথি জমা করার আবেদন জানায়, যা দেখে তাদের-কে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। মূলত ২টি আবশ্যিক বিষয়ের উল্লেখ করা হয় সেখানে।
‘এ’-তালিকায় যে যে তথ্য চাওয়া হয়- ১৯৫১ সালের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের নথি
২৪ মার্চ ১৯৭১ সালের আগে পর্যন্ত ভোটার তালিকার নথি
জমি ও প্রজাস্বত্ব নথি
নাগরিকত্বের শংসাপত্র
স্থায়ী আবাসিক শংসাপত্র
শরণার্থী নিবন্ধীকরণ সার্টিফিকেট
পাসপোর্ট
এলআইসি
যেকোনও সরকারি লাইসেন্স অথবা সার্টিফিকেট
সরকারি চাকুরির নথি
ব্যঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্টের নথি
বার্থ সার্টিফিকেট
বিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট
আদালতের কোনও নথি
‘বি’-তালিকায় যে যে নথি চাওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- জমি সংক্রান্ত তথ্য, রেশন কার্ড এবং বিবাহিতদের জন্য প্রয়োজনীয় নথি