Model Emily Adonna: মনচোরা চেহারা নিয়ে ক্লান্ত মডেলের `চরম` কাণ্ড, হতবাক অনুরাগীরা!
কথায় আছে যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সাজতে অনেক বেশি সময় লাগে। অর্থাৎ, প্রায়শই অনেক মহিলা মেকআপ না করে ঘরের বাইরে যান না। কিন্তু এখানে ঘটেছেন অদ্ভুত ঘটনা। একজন সুন্দরী মডেল এমিলি অ্যাডোনা তার সৌন্দর্যে এমনভাবে বিরক্ত হয়েছিলেন যে তিনি কুশ্রী দেখতে হয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি বিশ্রী পোশাক পরেন এবং খারাপ ট্যাটু করান।
এমিলি এটা করছে কারণ সে তার সহজাত সৌন্দর্যকে নিজের হাতে নষ্ট করতে চেয়েছেন। মানুষের নজর এড়াতেই এই কাজ বলে জানা গিয়েছে। কথাটা শুনে হয়তো অবাক হতে পারেন, কিন্তু সুন্দর দেখার কোনও ইচ্ছা নেই এমিলির।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমিলি অ্যাডোনা তার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি সুন্দর দেখতে চান না। এমিলি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে সুন্দর দেখার অনেক সুবিধা রয়েছে কিন্তু পাশাপাশি এর কিছু বড় অসুবিধাও রয়েছে।
এমিলির সৌন্দর্যের কারণে, মডেলিং জগতে তিনি পরিচিত। মডেলিং একটি মরসুমি পেশা বলে মনে করেন তিনি। এই অবস্থায় সংসারের খরচ চালাতেও অন্য চাকরি দরকার। এবং চাকরির ক্ষেত্র তাকে বহুবার তাঁকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এমিলি বলেন, 'অফিসের জুনিয়র হোক অথবা সিনিয়র, যে কেউ যখনই মনে হয় জিজ্ঞেস না করেই তাকে স্পর্শ করে। পাশপাশি অপরিচিত ব্যক্তিরাও অফিস বা বাজার সর্বত্র তাঁকে ভুলভাবে স্পর্শ করার অথবা জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে (Bad Touch)। এই সব দেখে তাঁর খুব খারাপ লাগছে।
সংবাদমাধ্যমকে এমিলি আরও বলেন, 'অহেতুক মনোযোগ পেয়ে বিরক্ত হয়ে গেছি। সেজন্য আমার সৌন্দর্যকে খারাপ করার কোথা ভেবে, আমি আমার চেহারা পরিবর্তন করে কম আকর্ষণীয় হওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে মানুষ আমার গায়ে লেগে না থেকে দূরে থাকে'।
এমিলি মানুষের কুদৃষ্টি থেকে দূরে থাকার অথবা ট্রোলের কথার উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে তার চেহারা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই জন্য তিনি প্রথমে তার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট এবং স্টাইল পরিবর্তন করেন।
এই পরিকল্পনার পাশাপাশি, এমিলি তাঁর পুরানো, ছেঁড়া এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরে যান সব জায়গায়। এমনকি তিনি নিজের হাতে একটি কুৎসিত এবং বড় ট্যাটু তৈরি করেছিলেন যাতে মানুষ তাকে দেখে দূরে সরে যান।
এমিলি তার নাকে খুব অদ্ভুত একটা আংটি পরেছেন। তিনি বলেন, মানুষ এখন আর আগের মতো তার প্রতি আকৃষ্ট হয় না। এইসব করে তিনি যে শান্তি পেয়েছেন তা সফলতার চেয়ে কম নয়। তার এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন তার ভক্তরা। তারা চায় তাদের ইয়ুথ আইকন যেন আগের মতোই সুন্দর থাকেন। সম্ভবত সে কারণেই তিনি তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমি বিশ্বাস করি সৌন্দর্যের সঙ্গে হয়রানির কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতিটি মেয়েকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সম্ভবত আমি খুব বিরক্ত ছিলাম, তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম'।