Eyeball Planet: বিশাল আগুনের গোলার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটি নীল চোখ! মহাকাশে কী ওটা?
না আদ্যন্ত নতুন কোনও খবর নয়। ২০১৭ সালেই গ্রহটির খোঁজ পেয়েছিল জেমস ওয়েব। নাম দেওয়া হয়েছিল, 'এলএইচএস-১১১৪০ বি' (LHS 1140 b)। প্রাথমিকভাবে গ্রহটিকে মোটেই বাসযোগ্য বলে মনে করেননি বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহে জল থাকলেও মিথেন এবং ঘন অ্যামোনিয়াও ছিল। এজন্য গ্রহটিকে আমাদের সৌরজগতের নেপচুনের মতো বলে মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু 'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে' প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক লেখায় বলা হয়েছে, আগে এই গ্রহে যতটা জল ও বরফ আছে বলে মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, তার থেকেও এখানে জল-বরফের পরিমাণ অনেক বেশি। আর তাতেই প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে এত কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
লেখাটিতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যেসব নাতিশীতোষ্ণ এক্সোপ্ল্যানেটগুলির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে তরল অবস্থায় জল থাকার বিষয়ে অন্যদের চেয়ে অনেকটাই কিংবা সব চেয়ে বেশি এগিয়ে এই এলএইচএস-১১১৪০বি গ্রহটি।
আরও জানা গিয়েছে, গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৫০ আলোকবর্ষ দূরে। পৃথিবীর থেকে আয়তনে প্রায় ১.৭৩ গুণ বড়। ভর পৃথিবীর থেকে ৫.৬ গুণ বেশি। এর কক্ষপথ এতই ছোট যে, পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ২৫ দিনেই গ্রহটিতে এক বছর হয়!
গ্রহটি দেখতে অদ্ভুত! দেখলে মনে হতে পারে, যেন মহাজাগতিক আগুনের গোলার দিকে (যেটি এই গ্রহের নক্ষত্র) স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একটি চোখ।
গ্রহটি যে নক্ষত্রকে পাক দিয়ে ঘোরে সেটি আমাদের সূর্যের মতো কমবয়সী নয়, অনেক ঠান্ডা, বামন গ্রহ গোছের। যদি এটি সূর্যের মতো হত, তাহলে, এলএইচএস-১১১৪০বি-র সব বরফই গলে যেত, আর গ্রহটি মহাসাগরের জলে ঢেকে যেত। ফলে, বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেত। তবে তা হয়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটির বেশিরভাগ অংশ হিমায়িত হলেও, চোখের মণির মতো দেখতে ওই সমুদ্র-অংশের আশপাশের এলাকার ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। হিমায়িত এই গ্রহে যা সামুদ্রিক জীব ও জীবনের বাসযোগ্য তাপমাত্রা বলে মনে করা হচ্ছে।