নষ্ট সিমেন্টের সঙ্গে রাসায়নিক-গঙ্গা মাটি মিশিয়েই চলত বিক্রি, পর্দাফাঁস ভুয়ো কারখানার
নিজস্ব প্রতিবেদন : রমরমিয়ে চলছিল জাল সিমেন্ট কারখানা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালাতেই পর্দা ফাঁস হল উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার জাল সিমেন্ট কারখানার।
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নিমতার ফতুল্লাপুরের আমবাগানে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই নাকি চলছিল এই জাল সিমেন্ট কারখানা। রবিবার রাতে হানা দেয় নিমতা থানার পুলিস। গ্রেফতার করে পাঁচ জনকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন নামী-দামি কম্পানির নষ্ট হয়ে যাওয়া সিমেন্ট প্রথমে কারখানায় নিয়ে আসা হত।
তারপর তার সঙ্গে রাসায়নিক ও গঙ্গার মাটি মিশিয়ে আবার নতুন করে তা ওই নামী-দামি কম্পানির বস্তায় ভরে চালান করে দেওয়া হত। প্রায় আড়াই থেকে তিন মাস ধরে চলছিল এই জাল সিমেন্ট কারখানা।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, পাশেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ায় সহজেই ওই জাল সিমেন্ট অন্যত্র পৌঁছে যেত।
রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় নিমতা থানার পুলিস। আটক করে সিমেন্ট বোঝাই তিনটি লরি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসিক কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে ফতুল্লাপুরে বাসিন্দা মহম্মদ তার ফাঁকা জমি ভাড়া দিয়েছিল। সেখানেই তৈরি হত ওই জাল সিমেন্ট।
কাশীপুরের বাসিন্দা পণ্ডিত সাউ ও বেলগাছিয়ার বাসিন্দা শেখ সইদ এই কারখানা চালাচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে জগ্গু নামে আরেক ব্যক্তিও যুক্ত আছে বলে জানা যাচ্ছে। সে নাকি বছর পনেরো ধরে তপসিয়া পঞ্চানন গ্রামে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল।