ভারত বনধে আজ দেশ অচল হওয়ার আশঙ্কা; কোনও রাজনৈতিক নেতাকে চাই না, ঘোষণা কৃষকদের
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তাদের সঙ্গে রয়েছে দেশের ১১ বিরোধী দল। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক ইউনিয়নগুলি। কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকদের বক্তব্য, তাদের আন্দোলন মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে উঠতে দেওয়া হবে না।
সোমবার দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক নেতা দর্শন পাল বলেন, আগামিকাল গোটা দিন বনধ পালন করা হবে। চাকা জ্যাম করা হবে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। তবে যাই হোক আমরা কৃষকদের আন্দোলন মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে উঠতে দেব না।
মঙ্গলবারের ভারত বনধ যে কোনও মূল্যে শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তবে দিল্লি সীমান্তের প্রতিটি বাজার-দোকানে ধরনা দেওয়া হবে।
আজ আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাত্রা করেন এশিয়াডে সোনাজয়ী বক্সার বিজেন্দ্র সিং সহ একাধিক অ্যাথলিট। তাঁরা তাঁদের মেডেল ফিরিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। তাদের থামিয়ে দেয় পুলিস।
এদিকে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে আজ কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যে আইন এনেছে তা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এজেন্ডা ছিল।
আগামিকাল ভারত বনধে অংশ নিচ্ছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন। ফলে মঙ্গলবার দিল্লিতে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা অচল হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। তবে দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, জোর করে দোকান বন্ধ করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছে, বনধে কাউকে জোর করা হবে না।