শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ বাংলার দিকে সরছে ফণির সম্ভাব্য গতিপথ
তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশ নয়, সম্ভবত ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। ইতিমধ্যেই বেশ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবারই প্রচন্ড শক্তিশালী এই ঘূর্নিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই সময় ঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারে বলে অনুমান।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে অস্বাভাবিক শ্লথ গতিতে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণি ঝড়টি। ঘণ্টায় তার গতিবেগ চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার মাত্র। একই সঙ্গে সমুদ্রপিষ্ট উত্তপ্ত থাকায় গতি কম হলেও লাফিয়ে শক্তি বারাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে পুরী থেকে পারা দ্বীপের মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে ফণি'।
ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। পয়লা মে ঘূর্ণিঝড়টির গতিমুখ পরিবর্তন হওয়ার পরই সেটি ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ওদিকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হবে বলে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ওড়িশা সরকার।
এ রাজ্যে লোকসভা বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর। তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও উপকূল রক্ষীবাহিনীও। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পূর্ব উপকূলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন, বৃষ্টি হতে পারে বেঙ্গালুরু, কেরলেও।
পূর্বাভাস মিলিয়ে ফণি ওড়িশায় আঘাত হানলে তা অতি গভীর বা গভীর নিম্নচাপ হিসেবে প্রবেশ করতে পারে পশ্চিমবঙ্গেও। যার জেরে চলতি সপ্তাহান্তে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বিশেষ করে উপকূলের জেলাগুলিতে টানা বৃষ্টি চলতে পারে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। যার জেরে এ রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটের প্রস্তুতি প্রভাবিত হওয়ার পারে বলেই আশঙ্কা।