একে করোনা, দোসর নিম্নচাপ, প্লাবিত চাষের জমি, বন্যা পরিস্থিতি বহু জেলায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েকদিনের টানা নিম্নচাপে দক্ষিণবঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে বাড়ছে বিভিন্ন নদীর জল। আর সেই জলে প্লাবিত হচ্ছে একাধিক জেলার চাষের জমি, ভেঙে গেছে সেতু। রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যাওয়াতে বিভিন্ন জেলার একাধিক গ্রামের সঙ্গে সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
মেদিনীপুর সদর: টানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেল মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে লোহাটিকরির সেতু। ওই গ্রামে খালের উপর দিয়ে কৃষিজমিতে যাওয়ার জন্য এই সেতুটি ছিল একমাত্র যোগাযোগে রাস্তা। বৃহস্পতিবার জলের তোড়ে সেতু ধস খেয়ে নীচে নেমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যাতায়াত। এছাড়াও এই রাস্তাটি দিয়ে বালি খাদানের লরিও যাতায়াত করে বলে জানান এলাকাবাসীরা। এই সেতুটি ভেঙে যাওয়াতে এলাকার মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়েছে । তাই স্থানীয় বসিন্দারা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে সেতুটি যাতে দ্রুত সারানো হয়।
দাসপুর: রাতভর অবিরাম বৃষ্টিতে নদী বাঁধ ভেঙে ফের নতুন করে প্লাবিত হল দাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে দাসপুরের বড়ামারা গ্রামে শিলাবতী নদীতে থাকা জমিদারি বাঁধ হঠাত্ করে ভেঙে যায়। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। হুহু করে জল ঢুকছে বড়ামারা, সিমানা, হাজারকুণ্ডু সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। ইতিমধ্যেই কয়েকশো বিঘে ধান জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে দাসপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে বাঁধ ভেঙে যাওয়াতে ফের বন্যা কবলে পড়তে চলেছে বুড়ামাড়া সংলগ্ন গ্রামগুলি ।
খানাকুল: ভাদ্রের বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে রূপনারায়ণ। প্লাবিত মাড়োখানা,ধান্যঘোড়ি,জগত্পুর,পান শিউলি,রাজহাটি ১ ও ২, জগদীশ তলা কাকনান,সহ খানাকুলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নন্দনপুরের সঙ্গে। মায়াপুর গড়ের ঘাটে প্রধান সড়ক জলের তলায়। এক কথায় খানাকুলের বহু পরিবার ঘরছাড়া। রূপনারায়ণের জল গ্রামে ঢুকেই চলেছে। জল ঢুকছে ঘরবাড়িতে । রূপনারায়ণের জল যে ভাবে বাড়ছে তাতে করে বড়সড় বন্যার ভ্রুকুটি দেখছে খানকুল।
খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি কেমন, এলাকার মানুষ কেমন আছেন? এই নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঝটিকা সফরে হুগলি জেলা গ্রামীন পুলিস সুপার তথাগত বসু। ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার,আরামবাগের এস ডিপিও সহ একাধিক আধিকারিক। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা এগারোটা নাগাদ তারা হাজির হন গড়ের ঘাট এলাকায়।সেখান থেকে এলাকা ঘুরেও দেখেন। পাশাপাশি ভিতরের জলমগ্ন গ্রাম গুলিতে ত্রান সামগ্রী পাঠান নৌকা করে।