Malda Floods: নদী বাঁধে একাধিক ফাটল! ফুঁসছে, ভয়ংকর হয়ে উঠেছে গঙ্গা, সর্বগ্রাসী বন্যা আতঙ্কে...
রণজয় সিংহ: গঙ্গা নদী ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই নতুন করে ফুলহর নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় সাতটি স্থানে ফাটল ফুলহরের নাজিরপুর বাঁধে। দুই জায়গায় ধসে পড়েছে বাঁধের একাংশ। আর বাঁধ ঘেষেই বইছে ফুলহর। চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী।
জল বাড়লেই ভূতনির মতো জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা। জলমগ্ন হতে পারে নাজিরপুর, মথুরাপুর-সহ মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টির ফল বাঁধের এই ফাটল। দীর্ঘদিন বাঁধ সংস্কারের কাজ না হওয়ায় এই পরিণতি বলে দাবি গ্রামবাসীর।
মালদার মানিকচক ব্লকের নাজিরপুর পশ্চিম পাড়া, সিংপাড়া ও মথুরাপুর শ্মশানের কাছে মোট চার জায়গার সাতটি অংশে ফাটল দেখা গেছে। বর্তমানে বাঁধের গা ঘেষে বইছে ফুলহর। এমন পরিস্থিতি ফুলহরের জলস্তর আরও বাড়তে থাকলে সেই ফাটল দিয়ে ফুলহরের জল হু হু করে ঢুকে পড়তে পারে লোকালয়ে।
আর এই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। নাজিরপুরের বাসিন্দা অমিত মন্ডল বলেন, বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি, দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে বাঁধের মধ্যে যেখানে সেখানে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি কোষী নদীর জল ঢুকলে ভাঙতে পারে বাঁধ। তৈরি হতে পারে ভূতনির মত বন্যা পরিস্থিতি।
মালদা দক্ষিণ সাংগঠনিক বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মন্ডল অভিযোগ করে বলেন,গত কয়েক শতকে এই বাঁধের মেরামতির কাজই করা হয়নি।
বাঁধে ফাটল দেখা গেলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। যদি বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায়ী থাকবে সেচ দফতর। অন্যদিকে এ বিষয়ে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে দফতরকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মানিকচকে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জলমগ্ন পাঁচটি অঞ্চল। বিশেষত ভূতনির তিনটি পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ জলবন্দী দশায় রয়েছে।বন্ধ সড়কপথে যাতায়াত, যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম রয়েছে নৌকা। আর এই নৌকার মধ্যেই পারাপার করতে গিয়ে বারংবার ঘটছে দুর্ঘটনা।