Flying Dragon: পাওয়া গেল ১৬ কোটি বছর আগের `উড়ন্ত ড্রাগনে`র জীবাশ্ম!
নতুন দিনের নানা আবিষ্কার আমাদের নানা পুরনো ধারণা ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। যেমন এই সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া 'উড়ন্ত ড্রাগন' তথা উড়ুক্কু ডাইনোসরের জীবাশ্ম।
পাখির মতো উড়ে বেড়াত এই অতিকায় ডাইনোসর। তাই একে বলা হতো উড়ুক্কু ড্রাগন। চিলির আতাকামা মরুভূমিতে বিজ্ঞানীরা সেই উড়ুক্কু ড্রাগনের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এত দিন ধারণা করা হত, জুরাসিক যুগের এই ডাইনোসর কেবল উত্তর গোলার্ধেই বিচরণ করত।
উড়ন্ত এ সরীসৃপ আদিম টেরোসরাসের অন্তর্গত ছিল, যারা ১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত। এদের দীর্ঘ লেজ, ডানা এবং বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ দাঁত ছিল।
এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন আতাকামা ডেজার্ট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরি অ্যান্ড কালচারের অধিকর্তা ওসালদো রোজাস। এরপর চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ নিয়ে গবেষণা চালান। দক্ষিণ গোলার্ধে উড়ুক্কু ড্রাগনের অস্তিত্বের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে জীবাশ্মবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা এক পত্রিকায় (Acta Palaeontologica Polonica)।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোনাথন অ্যালার্কন বলেন, এত দিন পর্যন্ত উড়ুক্কু ড্রাগনের বিচরণ নিয়ে যা জানা ছিল, প্রকৃতপক্ষে তাদের বিস্তৃতি ছিল তার চেয়েও বেশি। শুধু তাই নয়, এই আবিষ্কার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের প্রাণীদের সম্ভাব্য স্থানান্তর ও তাদের আন্তঃসম্পর্কের সূত্রেরও ইঙ্গিত মেলে। আর এটি এমন একটি সময়ের ইঙ্গিত দেয়, যখন পৃথিবীর অধিকাংশ দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূমি গন্ডোয়ানা নামক এক মহা-মহাদেশে সংযুক্ত ছিল।
বিজ্ঞানী অ্যালার্কন বলেন, এসব টেরোসরাসের একটি প্রজাতির খোঁজ কিউবাতেও পাওয়া যায়। এগুলি উপকূলীয় প্রাণী ছিল। তাই তারা সম্ভবত উত্তর ও দক্ষিণে জায়গা বদল করত। অথবা তারা এ অঞ্চলে একবার এসে আর ফেরত যায়নি।
চিলির বিশাল আতাকামা মরুভূমি একসময় প্রশান্ত মহাসাগরে নিচে ডুবে ছিল। ইদানীং এ অঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় কয়েক দশক ধরে বৃষ্টিপাতও হয়নি। জীবাশ্ম অনুসন্ধানকারীদের জন্য এটি তাই আদর্শ জায়গা। মরুভূমির অনেক জায়গায় এখনো কারও স্পর্শ পড়েনি। মরুভূমির পিঠের নীচেই রয়েছে অনেক জীবাশ্ম। যা জীবাশ্মসন্ধানীদের কাছে সোনার খনির চেয়েও দামি!