পিকের কলকাঠি! বিশ বাঁও জলে শোভনের `ঘরে ফেরা`
কমলিকা সেনগুপ্ত: ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বদলে গেল সম্পূর্ণ ছবিটা। তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনায় হোঁচট খেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন মেয়রকে তৃণমূলে ফেরাতে দলের অনেকে আগ্রহী হলেও আপত্তি টিম পিকে-র। মূলত সেই কারণেই আপাতত তৃণমূলে ফেরা হচ্ছে না শোভনের। এমনটা সূত্রের খবর।
গত সোমবার শোভনের তৃণমূলের ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ১৩১ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা শোভন পত্নী রত্না চ্যাটার্জিকে সরিয়ে দেওয়ার পর শোভনের খবরে যেন ঘৃতাহুতি পড়ে। এই খবর নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে তখন কতগুলো প্রশ্ন সামনে এসে গিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, রত্না চ্যাটার্জিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ রত্না চ্যাটর্জি জানেন না। বিগত দিনে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিগতভাবে যখন কাউকে দায়িত্ব দিয়েছে বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে সেটা দলের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু রত্না চ্যাটার্জিকে সরিয়ে দেওয়ার কোন খবর দলের তরফ থেকে সরকারিভাবে জানানো হয়নি।
এই প্রসঙ্গে রত্না চ্যাটার্জি বলেন, "আমি মিডিয়াতে এই খবর দেখার পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তাঁরা আমাকে কোনও কথা না শুনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আমার মনে হয় এটা দলের একাংশের তৈরি করা গুজব। আমি আজও ওয়ার্ডে দলের নির্দেশ মতো কাজ করেছি। যে রকম কাজ করছিলাম সেইরকম কাজ আমি করে যাব।"
শোভনের তৃণমূলের ফেরার জল্পনার মধ্যেই সোমবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেমন। টানা আড়াই ঘন্টা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর সম্ভাবনা তৈরি হলেও মেমনের শোভনের বাড়ি যাওয়া ভালো চোখে নেননি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক মহলের দাবি এটাই শোভনের দলের ফেরার সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে।পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা চাইছেন, শোভনের মতো পুরনো এবং অভিজ্ঞ নেতা দলে ফিরে আসুক । কিন্তু কোনও শর্তসাপেক্ষে তাঁকে দলে নিতে রাজি নয় দলের অনেকেই। শোনা গিয়েছে, তৃণমূলে ফেরার ক্ষেত্রে শোভনের অন্যতম শর্ত ছিল রত্নাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। যাইহোক, শোভনের ঘর ওয়াপসি আপাতত বিশ বাঁও জলে ।