Tea Benefits: হজমশক্তি বৃদ্ধি থেকে শরীর হাইড্রেটেড রাখা, মন ভাল রাখতেও কখন খাবেন চা?
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালে ঘুম ভেঙে বা সন্ধের আড্ডায়, পাড়ার দোকানে রাজনৈতিক আলোচনায় বা অফিসে কাজের ফাঁকে, এক কাপ চা ছাড়া যেন গোটাটাই অসম্পূর্ণ। বাঙালির অন্যতম প্রিয় পানীয় চা। তবে এই চায়েরই রয়েছে নানান গুণ (Tea Benefits)। রোজ ঠিকমতো পান করলে শরীরের নানান উপকার করে এই চা, যা আমাদের অনেকেরই অজানা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ কাপ চা পান করা উচিত। বয়স ধরে রাখতে ও শরীরকে চনমনে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। তবে খালি পেটে অবশ্যই চা পান করা উচিত নয়।
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ও ইউনাইটেড নেশনস ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন এর মতে, বিশ্বজুড়ে জলের পর সবচয়ে বেশি পান করা হয় চা। হৃদরোগের (Cardiovascular Diseases CVDs) ঝুঁকি কমাতে, এমনকি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, স্নায়বিক সমস্যা কমাতেও সাহায্য় করে চা।
সাধারণত তিন ধরনের চা আমরা পান করি। তবে দুধ চায়ের থেকে লিকার চা বা ব্ল্যাক টি ও গ্রিন টি এর উপকারিতা অনেক বেশি। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে এই দুই প্রকার চা-ই হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। প্রাকৃ্তিক খনিজ উপাদানে ভরপুর এই চা পান করলে হৃদরোগের প্রবণতা কমে।
অনেকেই যখন তখন চা পান করেন। আবার কেউ কেউ ভাবন বেড টি হল চা পানের উপযুক্ত সময়। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভালো নয় বেড টি। সাধারণত ব্রেকফাস্টের পরেই চা পানের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। ব্রেকফাস্টের অন্তত ২০ মিনিট পরে চা পান করলে তা সারাদিন চনমনে থাকতে সাহায্য করবে।
চা পানের আরও একটি অন্যতম বড় উপকারিতা হল শরীরে জলের মাত্রা ঠিক থাকতে এটি সাহায্য করে। এটি হয়তো অনেকেরই অজানা। চায়ের উপকরণে ৯৯ শতাংশই জল থাকায় তা শরীরে জলের ঘাটতিও পূরণ করে।
এছাড়াও চায়ের উপকারিতা রয়েছে অনেক। হজমশক্তি বৃদ্ধি, চুলের পুষ্টি, ত্বক মসৃণ রাখতে ও সর্বোপরি মানসিক চাপ কমাতে চায়ের ইনস্ট্যান্ট বিকল্প অমিল।