বিক্রম অতীত, আগামী বছরে আরও বড় লক্ষ্য `গগনযান` অভিযানে নেমে পড়ল ইসরো
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিক্রমের সঙ্গে এখনও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বিক্রমেই আটকে থাকছে না ইসরো। বরং পরের লক্ষ্যে নেমে পড়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
এবার ইসরোর পাখির চোখ আগামী বছর মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠানো। সৌজন্যে 'গগনযান'। শনিবার ইসরোর ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে এমনটাই জানালেন সংস্থার প্রধান কে শিবন।
এদিন সাংবাদিকদের শিবন বলেন, "চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটার সুষ্ঠভাবে কাজ করছে।" শিবন জানান, অর্বিটারের প্রধান ৮টি অংশের প্রতিটিই সুষ্ঠভাবে কাজ করছে। তবে অর্বিটারের সঙ্গে যাোগাযোগ থাকলেও ল্যান্ডারের সঙ্গে যে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি, তাও জানালেন ইসরো প্রধান।
শিবন বলেন,''পরের বছরেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছি। এজন্য ভিন্ন পরিকল্পনায় কাজ চলছে। প্রথমত জানতে হবে, ল্যান্ডারের ঠিক কী হয়েছে। এটাই অগ্রাধিকার।''
গগনযান অভিযানে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যেই নভোশ্চর নির্বাচনের জন্য জন্য বায়ু সেনার ২৫ জন যুদ্ধবিমানচালককে বাছাই করেছে ইসরো।
২৫ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে ৩ জনকে আলাদা করা হবে। সেই ৩ জনকে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসে পাঠানো হবে।
এর আগে শিবন জানিয়েছিলেন, একবার চাঁদের কাছে পৌছানোর চেষ্টা চলছে। আগামী বছরেই জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয় চাঁদে যান পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে।
তবে এই সবকিছুর মাঝেও চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ঠিক কী কারণে অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যূত হতে হল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সম্ভাবনা আর প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ আজ থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ওই অংশে নেমে আসছে রাতের অন্ধকার। ফলে আর কাজ করবে না বিক্রমের সোলার প্যানেল। নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে বিক্রমের যন্ত্রাংশ।
৭ সেপ্টেম্বর অবতরণের সময়ে বিক্রমের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল যোগাযোগ। তারপর থেকে ক্রমাগত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়েছেন ইসরো ও নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই সক্রিয় থাকছে বিক্রমের সোলার প্যানেল। এর পরেই আলোর অভাবে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। ফলে আর যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে না।