Ganesh Chaturthi 2021: গণেশ পুজোয় এই কয়েকটি টোটকা পালন করলেই মিলবে সৌভাগ্য
শাস্ত্র মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে প্রতি বছর পুজো হয়ে গণেশের, তবে করোনার কারণে রয়েছে কিছু বিধিনিষেধ,গোটা দেশে পুজো হলেও মহারাষ্ট্রে মহা ধুমধাম করে এই উৎসব পালিত হয়। তবে বাড়িতে পুজো করলে রয়েছে কয়েকটি রীতিনীতি। হিন্দু ধর্মে গণেশকে সঙ্কটমোচক দেবতার আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, গণপতির আরাধনায় সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই হিন্দু ধর্মে যে কোনও পুজোর আগে গণেশের নাম উচ্চারণ করে পুজো হয়।
শাস্ত্রমতে, গণেশের পুজো করলে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। ভক্তদের বিশ্বাস, গণপতির আরাধনায় সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই হিন্দু ধর্মে যে কোনও পুজোর আগে গণেশের নাম উচ্চারণ করে পুজো হয়। শাস্ত্রমতে, গণেশের পুজো করলে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।
শুক্রবার সকাল ১১.০৯ মিনিট থেকে রাত ১০.৫৯ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে শুভক্ষণ । এই বছর গণেশ পুজোর জন্য শুভ সময় শুরু হয়েছে ১২টা ১৭ মিনিটে অভিজিত্ মুহূর্ত থেকে এবং এই শুভক্ষণ থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এই দিনের বিশেষ সময়কে মাথায় রেখেই বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠা করুন। কারণ এই লগ্ন খুবই শুভ। শাস্ত্র মতে,পুজোর সময় কিছু টোটকা পালন করলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়।
শাস্ত্র মতে, গত বছরের মূর্তির সঙ্গে থাকা বা এই বছর পুজোর পর ২১টি দুর্বাঘাস গুচ্ছকে একটি মাদুলিতে ভরে গলায় ধারণ করলে শরীর সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকে, তবে এক্ষেত্রে আমিষ ভোজন ত্যাগ করতে হবে। গণেশের পুজোর সময় যে মৌলী জড়ানো সুপারিটি গত বছর থেকে ছিল তা বাড়ির মধ্যে ভক্তি ভরে রাখলে সকল রকম বাধা কেটে যায়।
বাড়িতে বিবাহ যোগ্য মেয়ে থাকলে গণেশের পূজোর ভোগে মালপোয়া নিবেদন করতে পারেন। এতে বিবাহযোগ্যা মেয়ের সুপুত্রের সঙ্গে বিবাহ যোগ সত্বর দেখা দেয়।
১১টি লবঙ্গ এবং ১১টি গোটা সুপারি পুজার থালাতে রাখুন, পুজোর পর তা বাড়ির মধ্যে সুরক্ষিত জায়গায় রাখুন। গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ করতে যাওয়ার সময় তা আপনার সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে, দেখবেন আপনার কার্যসিদ্ধি হবেই। গণেশজির ভোগে ২১টি মোতিচুরের লাড্ডু বা বেসনের লাড্ডু নিয়ে তার সঙ্গে ১০৮টি দূর্বা ঘাস নিবেদন করবেন,দেখবেন আপনার বাড়িতে ঋণের বেড়াজাল কখনোই আসবে না।
সাধারণত গণেশ পূজা ১০দিন ধরে হয়ে থাকে বা গণেশ মূর্তিকে বাড়িতে রাখা হয়। তবে তিন দিন, পাঁচ দিনও রাখতে পারেন। শাস্ত্র মতে, গণেশ আপনার বাড়িতে পূজিত হওয়ার সময়ে ভক্তি ভরে সেইসব দিন মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। গণেশজি স্থাপন করার স্থানের সঙ্গে শৌচাগার বা বাথরুমের কোন সরাসরি সংযোগ না থাকে। গণেশের সামনের দিক যেন বাড়ির সদর দরজার দিকেমুখ করে থাকে। এতে বাড়ির মধ্যে থাকা নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে যেতে থাকে এবং বাড়ির মধ্যে পজিটিভ এনার্জি আসতে থাকে।
২১ টির মতো দূর্বাঘাস একসঙ্গে বেঁধে নিয়ে তাতে মেটে সিঁদুর ও ঘি এর প্রলেপ লাগিয়ে ভগবান গণেশের পায়ে কারজোরে নিবেদন করুন। পিতলের থালার উপর পান পাতা এবং বিজোড় সংখ্যক তিল নাড়ু বা মোদক থাকলে অবশ্যই মোদক দিয়ে গণেশের পুজো করুন, যদি মন্ত্র না জানা থাকে তাহলে (ওঁ গাং গনপতয়ে নম) এই মন্ত্র ভক্তি ভরে জপ করলে গণেশ চতুর্থীর শুভক্ষণে আপনার ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি আসবে।