Ganesh Puja: গণেশ চতুর্থীর উত্সব আবহে জেনে নিন, কেন সব পুজোর আগেই শরণাপন্ন হতে হয় গজাননের!
গণেশকে 'বিঘ্নহর্তা' বা সকল বাধা দূরকারী দেবতা বলা হয় । যে কোনও শুভ কাজ তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে শুরু করলে সেই কাজটি বাধাবিঘ্নহীন ভাবে হয়ে থাকে ।
গণেশ হলেন বুদ্ধি, জ্ঞান ও সমৃদ্ধির দেবতা । তাঁকে পুজো করলে জীবনের সব কাজ সঠিক ভাবে হয়ে থাকে।
হিন্দু ধর্মে কোনও পুজো শুরু হওয়ার আগে সর্বপ্রথম গণেশ দেবতার পুজো করা হয় , তারপরেই অন্য দেবতার পুজো শুরু করা হয় ।
পৌরাণিক মতে,গণেশ বলেছিলেন ত্রিলোকের সকল সুখ তাঁর মাতা-পিতার মধ্যে বিরাজমান আছে । তাঁদের চরণের মধ্যেই গোটা বিশ্ব আছে। আর সেই কারণে তিনি ত্রিভুবন পরিক্রম না করে তাঁর মাতা-পিতাকে পরিক্রম করেছিলেন। তারপর থেকে সব পুজোর শুরুর আগে গণেশ পুজো করার রীতি চলে এসেছে ।
গণেশকে রক্ষাকর্তা হিসেবেও মানা হয়। তাঁর পুজো করলে জীবনের যাত্রায় কোনও বিপদ থেকে বা অপ্রত্যাশিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রতি বছর গণেশ চতুর্থীতে গণেশকে অনেক ধুমধাম করে পূজা দেওয়া হয় এবং তাঁর মূর্তি জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। এটি গণেশের সঙ্গে নতুন সূচনা ও সমৃদ্ধি আনে।
বলা হয়, গণেশকে বুধবারের দিন পুজো করলে মনোবাঞ্ছনা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। বুধবার সকালে ও সন্ধ্যায় শ্রী গণেশের ১২টি নাম ১০৮ বার পাঠ করলে ও বুধবার গরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ালে অথবা ২১ টি দূর্বা অর্পণ করে গণেশের পুজো করলে সুখ, সমৃদ্ধি বাড়ে ।