Gangasagar: দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ! সেতুতে জুড়ছে সাগর, এবার খুব সহজেই সাধের গঙ্গাসাগরে...
কিরণ মান্না: দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে গঙ্গাসাগরবাসীর। গঙ্গাসাগরে মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে তৈরি হচ্ছে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। ১৪৩৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৫৪ টাকা ব্যয়ে মুড়িগঙ্গা নদীতে তৈরি হতে চলেছে এই সেতু। ইতিমধ্যেই এই সেতুর টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। সেতুর নির্মাণ কাজ ১৪৬০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেতুর মোট দৈর্ঘ্য হতে চলেছে ৪.১ কিলোমিটার। যেটি তিনটি ভাগে বিভক্ত থাকবে। একটি অংশ কাকদ্বীপের দিকে, একটি অংশ সাগরের এবং মাঝখানের একটি অংশ। সাগর থেকে সুন্দরবনবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ব্রিজ। অবশেষে সেই ব্রিদ করার জন্য সিলমোহর দিল রাজ্য সরকার।
কথায় বলে সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার। গঙ্গাসাগর যেতে গেলে প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম লট নাম্বার এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেলের মাধ্যমে পারাপার করতে হত। পারাপারের ক্ষেত্রে ভাটা থাকলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় পুণ্যার্থীদের। পাশাপাশি যারা কাকদ্বীপ থেকে সাগরে যায় কিংবা সাগর থেকে কাকদ্বীপে আসে, তাদেরও মূলত ভরসা ভেসেল।
এখন এই ভেসেলের মাধ্যমে গাড়ি পারাপার থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে অতি সাবধানে তুলতে হয়। আরও একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে। কাকদ্বীপের লট নাম্বার এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেল যেতে সময় লাগে প্রায় পৌনে এক ঘন্টার কাছাকাছি।
আর ভাটা পড়লে দীর্ঘ ২ থেকে ৩ ঘন্টা এই ভেসেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন একমাত্র ভরসা হয়ে পড়ে ছোট ডিঙি নৌকা। কিন্তু অনেকেই প্রাণভয়ে তাতে যাতায়াত করেন না। এখন ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেকটাই সুগম হয়ে যাবে। একদিকে যেমন সময়ও কম লাগবে, ঠিক তেমনই রোগী যাতায়াত থেকে শুরু করে গাড়ি পারাপারও অনেকটাই সুবিধা হবে।
দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক থেকে তীর্থযাত্রীদের আর দীর্ঘ প্রতীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে না। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি জানিয়েছেন যে খুব শিগগিরই এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিনের সাগরবাসীর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে।