সমুদ্রতটে নগ্ন হয়ে দৌড়ানোর অভিযোগে মিলিন্দের বিরুদ্ধে FIR গোয়া পুলিসের
নিজস্ব প্রতবেদন: জন্মদিনে গোয়ায় গিয়ে নগ্ন হওয়ায় অবেশেষে মিলিন্দ সোমনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল। বলা চলে, একপ্রকার চাপে পরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে পুলিসকে।
জন্মদিনে নগ্ন হয়ে সমুদ্রতটে দৌড়ান জনপ্রিয় মডেল মিলিন্দ সোমান। যার ছবি শেয়ার করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। অন্যদিকে অর্ধনগ্ন হয়েছেন পুনম পান্ডে। অথচ পুনমকে নোটিস পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়, অন্যদিকে প্রশংসা করা হয় মিলিন্দের। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন ওঠে কেন এই দুমুখো নীতি নেওয়া হল! এরপরই, শনিবার মিলিন্দের বিরুদ্ধে গোয়া পুলিস এফআইআর দায়ের করে।
গোয়া পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন মিলিন্দ সোমেনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিধি সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ (অশ্লীল) অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এফআইআর দক্ষিণ গোয়া জেলার কোলভা থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে।
৫৫-র জন্মদিনে মিলিন্দ যেভাবে নিজেকে ফিট অ্যান্ড ফাইন, তা প্রমাণ করেতেই গোয়ার সৈকতে নগ্ন হয়ে দৌড়তে দেখা যায় মিলিন্দ সোমনকে। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন নেট জনতার একাংশ।
অন্যদিকে গোয়ার চাপোলি সৈকতে পুনম কেন অর্ধনগ্ন হয়ে পর্ন ভিডিয়ো শ্যুট করলেন, তা নিয়ে এফআইআর করে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। এফআইআরের পরই গ্রেফতার করা হয় পুনমকে। যা নিয়ে শোরগোল বেঁধে যায়।
মিলিন্দ সোমনের মতো মডেল নগ্ন হলে, কেন তা প্রশংসার জায়গা পায়, প্রশ্ন তোলেন নেট জনতা। অন্যদিকে কেন পুনমকে আইনি প্যাঁচে গ্রেফতার করা হল!
ভারতীয়রা আর কবে মহিলাদের নগ্নতাকে মেনে নিতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নেট পাড়ায়। কেন পুনমকে এভাবে হেনস্থা করা হল, তা নিয়েও জোরদার শোরগোল শুরু হয়ে যায় নেটিজেনদের মধ্যে।
মহিলাদের নগ্নতার প্রকাশকে কেন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া হচ্ছে না বলে ওঠে জোরদার প্রশ্ন। এরপরই চাপে পরে এফআইআর করতে বাধ্য হয় গোয়া পুলিস।