Jalpaiguri: দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে `জ্যান্ত দুর্গা`! হইচইকাণ্ড জলপাইগুড়িতে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। চলতি বছরেও কোভিড বিধি মেনে হতে চলেছে দুর্গাপুজো। পুজোর সময়ে গতবছরের নির্দেশিকা এবারও বলবৎ রাখার আবেদন জানিয়ে যখন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তখন মানুষকে সচেতন করতে পথে নামলেন স্বয়ং দশভূজা। দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে 'জ্যান্ত দুর্গা'-র আগমনে হইচইকাণ্ড জলপাইগুড়িতে।
'সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এখনও। ঘরে বসেই উৎসব পালন করুন'। দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলায় কিন্তু কোভিড বিধি মেনে দুর্গাপুজো হচ্ছে এবারও। পুজো উদ্যোক্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'আগেরবারের মতো এবারেও সব নিয়ম পালন করুন। ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জন হবে। পুজো কার্নিভাল করা সম্ভব হবে কিনা, তা পরে জানানো হবে'।
স্রেফ জলপাইগুড়িতে নয়, পুজোর মুখে আবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আবার জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গে কাহিল শিশুরা। বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই মারাও গিয়েছে। কারও কারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, বড়দের থেকেই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সেক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার-সহ কোভিড বিধি যদি কঠোরভাবে মেনে চলা যায়, তাহলে অন্তত ভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে।
সচেনতামূলক প্রচারও যে চলছে না, এমন নয়। কিন্তু ঘটনা হল, সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ মাস্ক ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছেন। মানছেন না কোভিড বিধিও।
মানুষকে সচেতন করতে অভিনব উদ্যোগ নিল জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের এক সদস্যাকে দুর্গা সাজিয়ে মাস্ক বিলি করা হল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে।
দুর্গারূপী উদিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'মানুষ ফের মাস্কের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। ফলে নতুন করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছি। জলপাইগুড়িতে বাচ্চারাও আক্রান্ত হচ্ছে। সেকারণেই কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে সঙ্গে আনিনি'।