স্বর্ণমন্দিরকে ঢেকে দেওয়া হবে আরও ১৬০ কেজি সোনায়!
বিশ্বে এক সবাই চেনে তাকে। পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির। সোনায় মোড়া এই মন্দিরটির শুধুমাত্র সৌন্দর্য্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এটি একটি শিখদের অন্যতম তীর্থ।
জানা গিয়েছে, গুরুদ্বারের সৌন্দার্যায়ন করতে আরও সোনা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৬০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে সৌন্দর্যায়ন করা হবে গুরুদ্বারের।
খরচ হবে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, শিখদের এই পবিত্র ধর্মস্থানকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
প্রতি দিন গুরুদ্বারের লঙ্গরখানায় ৫০ হাজার মানুষের আহারের ব্যবস্থা করে গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোথা থেকে আসবে এত সোনা?
সূত্রে খবর, দর্শনার্থীরা যে সব গহনা, সোনা দান করেন, সেই সব গহনা গলিয়ে ব্যবহার করা হবে গুরুদ্বারে। গুরুদ্বারের প্রত্যেক প্রবেশদ্বারে সোনা দিয়ে মুড়তে লাগবে ৪০ কিলোগ্রাম সোনা।
মহারাজা রঞ্জিত সিং ১৮৩০ সালে এই মন্দিরকে সোনা দিয়ে ঢেকে দেন। সোনা লেগেছিল প্রায় ১৬২ কেজির মতো। যার দর ছিল আনুমানিক ৬৫ লক্ষ টাকা।
মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের সময় ৭ থেকে ৮টি স্তরে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল মন্দিরকে। পরবর্তীকালে ২৪টি স্তর ব্যবহৃত হয়েছে।
মন্দিরটির জন্য প্রথম জমি অধিগ্রহণ করেন গুরু রাম দাস। এরপর সে সময় মোগল সম্রাট আকবর এই জমি দান করেন বলে জানা যায়।
১৫৮১ সালে শুরু মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দিরের প্রধান অংশের নির্মাণ শেষ হয় ১৫৮৯ সালে