সোনার খনির আবিষ্কার প্রতিবেশী রাজ্যে, করোনা আবহে মন্দা অর্থনীতিতে অক্সিজেন জোগাবে এই খনি!
ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ভিতার দাড়ি গ্রাম। ভারতীয় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (জিএসআই) জানাচ্ছে, এই গ্রামের মাটির তলায় রয়েছে সোনার খনি। গত ৩ জুন ঝাড়খণ্ড সরকারকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে জানায়, মাটির তলায় ২৫০ কিলোগ্রামের মতো সোনা রয়েছে।
জামশেদপুর শহর থেকে দক্ষিণে ২০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। করোনা আবহে মুষড়ে পড়া অর্থনীতিতে এই খবর কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জিএসআই সূত্রে খবর, সোনা উত্তোলনের জন্য খুব শীঘ্রই দরপত্র আহ্বান করা হবে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে অনুসন্ধান চালাতে ৬০০ মিটার গভীর ৬ টি গর্ত করা হয়। সাতশোর বেশি নমুনা সংগ্রহ করে, তা পরীক্ষার পরই সোনার খনির বিষয়ে নিশ্চিত হন জিএসআই-এর আধিকারিকরা। তবে, এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯-১০ সাল থেকেই। জি-ফোর স্টেজের অনুসন্ধান শুরু হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রের সোনার খনি পাওয়া গিয়েছে বলে হৈহৈ পড়ে যায় দেশজুড়ে। প্রথমে ভারতীয় ভূ-তত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়েছিল দু’দুটি খনি মিলেছে সেখানে। মোট সোনার পরিমাণ হতে পারে ৩ হাজার ৩৫০ টন। যা শুনে মাথা ঘুরে গিয়েছিল তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞদের।
প্রশ্ন ওঠে, গোটা দেশ মাত্র ৬২৬ টন সোনা মজুত রয়েছে, সেখানে এই পরিমাণ সোনায় রাতারাতি ভারত ধনী হয়ে উঠবে! তবে, এই স্বপ্নের ফানুসে পিন ফুঁটিয়ে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া জানায়, সোনভদ্রে সোনার হদিশ মিলেছে। তবে, যত্সমান্যই।