Guillain Barre Syndrome: পুণের আতঙ্কের মধ্যেই কলকাতায় গিয়ান বার সিনড্রোম নিয়ে বড় আপডেট! জানালেন স্বাস্থ্য সচিব...
)
অয়ন শর্মা: রাজ্যে গিয়ান বার সিনড্রোমের প্রকোপ নিয়ে বড় আপডেট। বিবৃতি জারি করে জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
)
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, গিয়ান বার সিনড্রোম কোনও নতুন বা কোনও বিরল রোগ নয়! রাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আগেও ছিল। তুলনামূলকভাবে জি বি সিনড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা তেমন একটা বাড়েনি রাজ্যে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
)
নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, অ্যাকিউট ফ্ল্যাসিড প্যারালাইসিস-এর কারণে হয়ে থাকে এই রোগ। পোলিও সার্ভিল্যান্সে দেখা গিয়েছে ১৫ বছরের শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকেও এমনটাই জানানো হয়েছে। ডিসেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে গিয়ান বার সিনড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে তেমন বাড়েনি।
প্রসঙ্গত, শুধু পুনে নয়, কলকাতাতেও খোঁজ মিলেছে গিয়ান বার সিন্ড্রোমে আক্রান্তের। কলকাতা শহরে এখনও পর্যন্ত গিয়ান বার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত মোট ৩ জন। আক্রান্ত ৩ জন-ই শিশু। পার্ক সার্কাসের একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২ শিশু। আর তৃতীয় শিশুটি কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গিয়ান বার সিন্ড্রোমে আক্রান্তের মধ্যে একজনের বয়স ৮, আরেকজনের বয়স ৯ বছর। একজন ২ সপ্তাহ ধরে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। অপরজন ৩ সপ্তাহ ধরে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। ওদিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ান বার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত শিশুটি ২ মাস ধরে ভর্তি। ওই শিশুর বয়স ৮ বছর।
মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই রোগের প্রকোপ ও বাড়বাড়ন্ত প্রথম দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই গুলেন বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জন। মৃত্যুও হয়েছে একজনের। বিরল এই স্নায়ুরোগের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে হাত-পা দুর্বল হয়ে অসাড় হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা। পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। খাবারে বিষক্রিয়া বা দূষিত জল থেকেই মূলত এই রোগ হয়।