এই মন্দিরে নারী রূপে পূজিত হন হনুমান, কেন জানেন?
বিশ্বজুড়ে হনুমানের বিভিন্ন ধরনের মন্দির রয়েছে। নানা রূপে পূজিত হন বজরংবলি। কিন্তু ভারতে এমন একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ হনুমানের। ছত্তিসগঢ়ের রতনপুরের এই মন্দিরে হনুমানকে নারী রূপে পুজো করেন ভক্তরা।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরের হনুমান বিগ্রহটি ১০ হাজার বছরে পুরনো। একাগ্র চিত্তে পুজো করলে মনোষ্কামনা পূর্ণ করেন বজরংবলি।
বিগ্রহটি দক্ষিণমুখী। বাম কাঁধে রাম ও ডান কাঁধে লক্ষ্মণ বিরাজমান। পায়ের নীচে দু'টি রাক্ষস।
কেন নারী রূপে পূজিত হন হনুমান?
লোকমুখে প্রচলিত, প্রাচীনকালে রতনপুরের রাজা পৃথ্বী দেবজু হনুমানভক্ত ছিলেন।
কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন পৃথ্বী। নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখনই স্বপ্নাদেশ পেয়ে হনুমানের মন্দির নির্মাণ করেন পৃথ্বী দেবজু।
মন্দির নির্মিত হওয়ার পর ফের স্বপ্নাদেশ পান রাজা। নির্দেশ পান, মহামায়া কুণ্ড থেকে প্রতিমা এনে মন্দিরে বসাতে হবে।
ওই বিগ্রহ নারী রূপে উদ্ধার করেন রাজা। তখন থেকেই নারী রূপে পূজিত হন হনুমান।
মন্দির নির্মাণের পর রোগমুক্তি হয় রাজার। অন্য ভক্তদেরও মনোকামনা বজরংবলি পূর্ণ করেন বলে বিশ্বাস বহু মানুষের।
কীভাবে এই মন্দির পরিদর্শনে যাবেন?
হাওড়া স্টেশন থেকে ছত্তিসগঢ়ের বিলাসপুর স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন। সেখান থেকে রতনপুরের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার।